পাকিস্তানি সেনার কনভয়ে ‘ফিদায়েঁ’ হামলা বালোচ লিবারেশন আর্মির, নিহত ৯০ জন

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- রবিবার কোয়েটা থেকে তাফতান যাচ্ছিল পাক সেনাবাহিনীর কনভয়। ওই সময়ে সেই কনভয় লক্ষ্য করে হামলা চালায় বালোচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। তাদের দাবি, ৯০ জন পাকিস্তানি সেনা জওয়ান নিহত হয়েছেন। তবে পাকিস্তানি সেনার তরফে জানানো হয়েছে, রবিবারের হামলায় নূন্যতম সাত জন মারা গিয়েছেন এবং আহতের সংখ্যা ২১ জন।

পাকিস্তানের সেনার তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কোয়েটা থেকে তাফতানগামী সেনাবাহিনীর একটি কনভয়ে হামলা চালানো হয়েছে। সাতটি বাস এবং দু’টি গাড়ির কনভয়ে হামলা চলে। সেনা ভার্তি একটি বাসে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি ধাক্কা মারে। সম্ভবত এটি আত্মঘাতী হামলা। অন্যটিতে রকেট-চালিত গ্রেনেড (আরপিজি) হামলা চালানো হয়েছে।’
আহতদের সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এলাকা পর্যবেক্ষণের জন্য ড্রোন পাঠানো হয়েছে।
নোশকি স্টেশনের এসএইচও জাফরুল্লাহ সুলেমানি জানিয়েছেন যে, প্রাথমিক রিপোর্ট অনুয়ায়ী এটি একটি আত্মঘাতী হামলা বলে মনে হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে সংগৃহীত প্রমাণ থেকে জানা যায় যে, আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী ইচ্ছাকৃতভাবে বিস্ফোরক-বোঝাই গাড়িটি সামরিক কনভয়ের একটিতে ধাক্কা দেন। তিনি আরও জানান যে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

এই হামলার পরপরই বালোচ লিবারেশন আর্মির (বিএলএ) তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘বালোচ লিবারেশন আর্মির ফিদায়েঁ (আত্মঘাতী) ইউনিট মাজিদ ব্রিগেড, কয়েক ঘন্টা আগে নোশকির আরসিডি হাইওয়ের রাখশান মিলের কাছে ভিবিআইইডি ফিদায়েঁ হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর একটি কনভয়কে লক্ষ্য করে হামলা হয়। কনভয়ে আটটি বাস ছিল, যার মধ্যে একটি বিস্ফোরণে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়। হামলার পরপরই, বিএলএ-এর ফতেহ স্কোয়াড অগ্রসর হয় এবং আরেকটি বাসকে সম্পূর্ণরূপে ঘিরে ফেলে, পরিকল্পিতভাবে সমস্ত সামরিক কর্মীকে শেষ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে শত্রুপক্ষের মোট হতাহতের সংখ্যা ৯০ জন।
বিএলএ জানিয়েছে যে তারা শীঘ্রই এই হামলার বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করবে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*