দেরি করে হলেও লকডাউনের পথে বাংলাদেশ

Spread the love

বিতর্ক বাড়ছে, আতঙ্ক আরও প্রবল। সেই সঙ্গে বাড়ছে করোনা রোগী। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ গণস্বাস্থ্য পরিষেবা ইতিমধ্যে প্রবল চাপের মুখে। ভিড় রাস্তায়। যে কোনও সময় করোনা ভাইরাস মহামারি আকার নিতে চলেছে বলেই আশঙ্কা। করোনা ছোবলে বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত মৃত তিন জন। আক্রান্ত ৩৩ জন। এদিকে করোনা সংক্রমণের মাঝে উপনির্বাচন কেন করানো হলো, তার কোনও সদুত্তর নেই সরকারের কাছে।

প্রতিবেশী ভারতের করোনা পরিবেশ চিন্তাজনক হওয়ায় সেখানে শুরু লকডাউন। এবার সেই পথেই বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার থেকে জারি হচ্ছে লকডাউন। তবে এতো দেরি করে কেন এই পদ্ধতির প্রয়োগ তা নিয়েও প্রশ্নের মুখে শেখ হাসিনার সরকার। হু আগেই জানিয়েছে, তীব্র করোনা ঝুঁকির মুখে দক্ষিণ এশিয়া, বিশেষ করে বাংলাদেশ। এদিকে করোনা সংক্রমণের মাঝেও প্রবল ভিড়ে বাস ট্রেন ধরার টিকিট কাটায় আরও সংক্রমণের আশঙ্কা। সব পরিস্থিতি সংক্রমণ ছড়ানোর অনুকুল বলেই মনে করা হচ্ছে।

অভিযোগ উঠছে প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তার। তবে প্রশাসনের নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কোয়ারেন্টাইনে থাকা অনেকেই বাইরে গিয়ে সংক্রমণের আশঙ্কা তীব্র করে তুলেছেন। বিবিসি জানাচ্ছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বাংলাদেশে সব ধরণের গণপরিবহন বৃহস্পতিবার থেকে ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা হচ্ছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের কোন সড়কে কোন রকম যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করবে না। এই লকডাউন কার্যকর থাকবে পরবর্তী দশদিন।

সারাদেশে নৌপথে লঞ্চ, ছোট নৌকাসহ সব ধরণের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে চলবে পণ্যবাহী নৌযান।নৌ পরিবহনমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এ কথা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রেলওয়ে বিভাগের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিবিসি বাংলাকে জানান, বুধবার থেকে সারা দেশে স্থানীয় কমিউটার মেইল ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। আর আগামী ২৬ তারিখ থেকে সারাদেশে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হবে। তবে মালবাহী ট্রেন চলাচল চালু থাকবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা। সব ধরণের ট্রেনের টিকিট বিক্রিও বন্ধ রয়েছে।