শেষ হল ভোট গ্রহণ। শুরু হয়েছে গণনা। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের আশ্বাস দিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু তা সত্ত্বেও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংঘর্ষের প্রায় ১০ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। টাঙ্গাইলের গোপালপুরে স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাজি আজিজ দুর্বৃত্তের হামলায় নিহত হয়েছেন। আওয়ামী লীগ-বিএনপির গোলাগুলিতে লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগের এক কর্মী নিহত হয়েছে। যদিও এখনও নিহতের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুই ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মী।
এছাড়া রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাঘরা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা বাছির উদ্দিন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০ জন। আবার, ভোট শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগেই চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষে জাতীয় পার্টির ১ কর্মী নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম আহমদ কবীর । রাজশাহীর মোহনপুরের পাকুড়িয়া হাইস্কুল কেন্দ্রের সামনে মেরাজউদ্দিন নামের আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে বিএনপির কর্মীরা পিটিয়ে হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এরকম আরও কিছু সংঘর্ষের ফলে নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে বগুড়া, ব্রাহ্মণবেড়িয়া, কক্সবাজার এবং নরসিংদীতে।
এদিকে, কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া একাদশ জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হচ্ছে। দুপুরেই এমনটা জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো কেন্দ্র থেকে পোলিং এজেন্ট বের করে দেওয়ার মতো অভিযোগ পায়নি পুলিশ। কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশের। ভোট গ্রহণ শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাও বলেন, কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া এবার ভোট ভালোই হয়েছে।
Be the first to comment