বৃহস্পতিবার সকালেই ধংসের প্রকৃত ছবি উঠে আসছে। পশ্চিমবঙ্গের তিন উপকূলীয় জেলায় তাণ্ডব চালিয়ে রাতভর বাংলাদেশের তিনটি বিভাগের জনজীবন তছনছ করল আমফান। তবে এবারেও সেই প্রকৃতির বর্ম সুন্দরবন কমিয়েছে সুপার সাইক্লোনের গতি।
ঘূর্ণিঝড় আমফানের হামলা বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকায় প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ বিপর্যস্ত। খুলনা, বরিশাল চট্টগ্রাম এবং ভারতের দিকে ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উপকূলেই বড় হামলা করেছে আমফান। ভারতে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশে মৃতের সংখ্যা প্রাথমিকভাবে ৭ জন। আরও মৃত্যুর আশঙ্কা থাকছে।
বৃহস্পতিবার সকালেও উত্তাল বঙ্গোপসাগর। ভয়াবহ ঢেউ পাড় ভেঙে রাক্ষসের মতো তেড়ে আসছে। উপকূলীয় এলাকার খুলনা, বরিশালের অন্তর্ভুক্ত পটুয়াখালী, ভোলা, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, বরগুনার জনজীবন তথৈবচ। মহিলা, শিশু সহ বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। ভেঙে পড়েছে বহু বাড়ি।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর জানাচ্ছে, উপকূল ছাড়িয়ে স্থলভূমির ভিতরে ঢোকার পর ক্রমে শক্তি হারাচ্ছে আমফান। প্রকৃতিবিদরা জানাচ্ছেন, সুন্দরবনের বিরাট সুন্দরী ম্যানগ্রোভ অরণ্য প্রাচীরেই গোঁত্তা খেয়ে শক্তি খুইয়েছে সামুদ্রিক ঘূর্ণি ঝড়টি।
বুধবার আমফান পশ্চিমবঙ্গ হয়ে অতিক্রম করতে শুরু করে। বাংলাদেশে ঢোকার আগেই সাতক্ষীরা, খুলনার উপকূলে ৫ থেকে ৭ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস বয়ে যায়। রাতে জোয়ার শুরু হলে ১৫ ফুট পর্যন্ত উঁচু জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা।
Be the first to comment