মার্চ মাসে ধর্মঘটের জন্য টানা চারদিন ব্যাঙ্ক বন্ধ! ব্যাহত হতে পারে এটিএম পরিষেবাও

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- আগামী সপ্তাহের শুরুতেই দু’দিন ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ডাক দিল ব্যাঙ্ক কর্মী ও আধিকারিকদের নয়টি সংগঠন। আগামী, ২৪ ও ২৫ মার্চ ধর্মঘটের কারণে সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি বন্ধ থাকবে। ফলে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা কতটা মিলবে, তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যদিও এটিএম বন্ধ থাকবে না। তবে, মাসের চতুর্থ শনিবার, রবিবারের ছুটির পর দু’দিনের ধর্মঘট মিলিয়ে মোট চারদিন ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় অধিকাংশ এটিএম ‘ড্রাই’ বা নগদ শূন্য হয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ‘ব্যাঙ্ক বাঁচাও দেশ বাঁচাও’ মঞ্চের মুখপাত্র তথা এসবিআই স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের (বেঙ্গল সার্কেল) প্রাক্তন ডেপুটি চিফ সেক্রেটারি অশোক মুখোপাধ্যায়।

সোমবার নয়টি ব্যাঙ্ক কর্মী সংগঠনের পক্ষ থেকে ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন (UFBU) সাংবাদিক বৈঠকে এই কথা ঘোষণা করেছে। এই প্রসঙ্গে ‘ব্যাঙ্ক বাঁচাও দেশ বাঁচাও’ মঞ্চের মুখপাত্র অশোক মুখোপাধ্যায় বলেন, “মূলত, এই ধর্মঘটে দুটি দাবি তুলে ধরা হবে। প্রথমত, দীর্ঘদিন ধরে ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে স্থায়ী কর্মী নিয়োগ বন্ধ রয়েছে বা সে ভাবে হচ্ছেই না। এর ফলে প্রভাবিত হচ্ছে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা। তাই স্থায়ী কর্মী নিয়োগ করতে হবে। এর পাশাপাশি, সপ্তাহে পাঁচ দিন কাজ এবং শনি-রবিবারে ব্যাঙ্ক বন্ধ, এই ব্যবস্থা কবে থেকে তা কার্যকর হচ্ছে? এই ধর্মঘটের মাধ্যমে তার উত্তর পেতে যাচ্ছেন ব্যাঙ্ককর্মীরা। ফলে এই ধর্মঘটের প্রভাব ব্যাঙ্কের শাখার পাশাপাশি এটিএম পরিষেবাতেও পড়তে চলেছে।”
উল্লেখ্য, ২২ মার্চ চতুর্থ শনিবার এবং পরের দিন ২৩ মার্চ রবিবার হওয়ায় দুই দিন এমনি বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক পরিষেবা তারপরের দুই দিন অর্থাৎ ২৪ মার্চ সোমবার এবং ২৫ মার্চ মঙ্গলবার নয়টি ব্যাঙ্ক কর্মী সংগঠনের ডাকা ধর্মঘটের জেরে বন্ধ থাকতে চলেছে অধিকাংশ ব্যাঙ্কিং পরিষেবা।
ইউএফবিইউ আহ্বায়ক সুদীপ দত্ত জানান, সোম ও মঙ্গল দু’দিন ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। ফলে এটিএম খোলা থাকলেও ব্যাঙ্ক কর্মীরা ধর্মঘটে শামিল হওয়ার ফলে কোনও কোথাও (এটিএম) টাকা শেষ হয়ে গেলে ধর্মঘটের দু’দিন আর নতুন করে টাকা ভরানো হবে না। যদিও, এক্ষেত্রে অশোক মুখোপাধ্যায়ের আশঙ্কা, ২১ মার্চের পর চারদিনের ছুটি ও ধর্মঘট মিলিয়ে ২৬ তারিখ ফের এটিএমগুলিতে টাকা ভরানোর সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই অধিকাংশ এটিএম নগদ শূন্য হয়ে পড়তে পারে। এর জেরে নগদ নির্ভর সাধারণ মানুষের চরম ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন অনেকেই ৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*