সংখ্যালঘুদের জীবিকার সংস্থান করে দিতে বাঁকুড়ার যাদবনগরে তৈরি হয়েছে কর্মতীর্থ। বাঁকুড়া জেলার অন্যতম পিছিয়ে পড়া ও সংখ্যালঘু প্রধান গ্রাম জয়পুরের যাদবনগর। এখানে তিন কোটি টাকা খরচে তৈির হয়েছে কর্মতীর্থ। থাকছে ৪৫ টি স্টল । সবজি-সহ বিভিন্ন সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসবেন ব্যবসায়ীরা। স্থায়ী বাজার পেয়ে খুশি তাঁরা।
বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের যাদবনগর গ্রাম একেবারে পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা লাগোয়া। জেলার অন্যতম পিছিয়ে পড়া ও সংখ্যালঘু প্রধান গ্রাম যাদবনগর। একসময় সমাজবিরোধীদের আখড়া ছিল এই গ্রাম। অনেকবার রক্তাক্ত হয়েছে গ্রামের মাটি। অতীতে সেসব কালো দিন ভুলে এখন যাদবনগরে শান্তি ফিরেছে। এলাকার মানুষ চাষাবাদ ও ব্যবসা করে নিজেদের জীবনধারণের রাস্তা খুঁজেছেন।সবজি উৎপাদন থেকে শুরু করে হস্ত শিল্পের জন্য জেলা ও জেলার বাইরে বেশ চওড়া নামডাক আছে এই এলাকার । কিন্তু স্থায়ী বাজার না থাকায় বহু ক্ষেত্রেই ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়তেন। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। কর্মতীর্থ প্রকল্পে যাদবনগর বাজারের কাছে তৈরি হয়েছে মার্কেট কমপ্লেক্স। সবজি-সহ অন্য সামগ্রী বিক্রিবাটার সুবিধা পাবেন ব্যবসায়ীরা।
কর্মতীর্থে বিক্রিবাটা – ৩কোটি টাকায় মার্কেট কমপ্লেক্স – মার্কেট কমপ্লেক্সে ৪৫টি স্টল – এক ছাদের তলায় হরেক সামগ্রী বিক্রি – মার্কেট কমপ্লেক্সে ব্যবসায়ীদের পানীয় জল-সহ বিভিন্ন সুবিধা – বেড়েছে কর্মসংস্থান। কর্মতীর্থ তৈরি হওয়ায় খুশি স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। আর্থিক স্বনির্ভরতা বাড়ায় স্থানীয় বাসিন্দারাও এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
কর্মতীর্থের বাইরেও বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রির পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। ব্যবসার জন্য মাথার উপর পাকা ছাদ পেয়ে খুশির হাসি হাসছে যাদবনগর।
Be the first to comment