‘ভুয়ো’ মানবাধিকার কমিশনের মুখ্যসচিবের পরিচয় দিয়ে এক যুবককে ঠকানোর অভিযোগ উঠল বাপ্পাদিত্য সাহা নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। নিজেকে ‘মানবাধিকার কমিশনের মুখ্যসচিব’ পরিচয় দিয়ে এক যুবকের কাছে থেকে ২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাপ্পাদিত্যর বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বাঁশদ্রোণী থানায়। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী যুবক সৌভিক দেবনাথ বাঁশদ্রোণীর বাসিন্দা। তাঁর দাবি, স্ত্রী’র সঙ্গে বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলা নিয়ে কিছু সমস্যায় পড়ে বাপ্পাদিত্য নামক ওই ব্যক্তির দ্বারস্থ হয়েছিলেন। বাপ্পাদিত্য নিজের ভুয়ো পরিচয়পত্র দেখিয়ে দাবি করেন যে, তিনি মানবাধিক কমিশনের মুখ্যসচিব। এমনকী, দেবাঞ্জনের মতো বাপ্পাদিত্যের বাড়িতেও নীলবাতির গাড়ি দেখতে পান বলে দাবি করেছেন সৌভিক। সেটা দেখেই তাঁর বিশ্বাস হয়।
অভিযোগকারীর আরও দাবি, বাপ্পাদিত্য তাঁকে বলেন ১৫ দিনের মধ্যে বিবাহ-বিচ্ছেদ করিয়ে দেবেন। কিন্তু সেটা করতে গেলে ২ লক্ষ টাকা দিতে হবে। মধ্যবিত্ত যুবক সৌভিকের দাবি, ভরসা করে নগদেই ২ লক্ষ টাকা দিয়ে দেন তিনি। কিন্তু টাকা জমা দেওয়ার পর যে মানি রিসিপ্ট তাঁকে দেওয়া হয়, সেটা দেখেই সন্দেহ হয় সৌভিকের। অভিযোগ, তারপরই বাপ্পাদিত্যের স্ত্রী ডিম্পি সাহা ওই যুবককে বলেন, মানবাধিকার কমিশনের হয়ে কিছু টাকা তাঁকে তুলে দিতে হবে। এখানেই খটকা লাগে ওই অভিযোগকারীর। জানিয়ে দেন, তিনি ওই কাজ করবেন না। কিন্তু, টাকা তোলারর কাজ না করলে বিবাহ-বিচ্ছেদ মামলার কোনও রফা করা হবে না বলে জানিয়ে দেন অভিযুক্ত দম্পতি। সেই মুহূর্ত থেকে টাকা ফেরৎ চাওয়া শুরু করেন ওই যুবক। কিন্তু তখন থেকে সাহা দম্পতি বেঁকে বসেন বলে অভিযোগ।
এরপরই নিজের আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে বাঁশদ্রোণী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই যুবক। অভিযোগকারীর আইনজীবীর দাবি, মানবাধিকার কমিশনে মুখ্যসচিবের কোনও পদই নেই। বাপ্পাদিত্য আবার নাকি নিজের স্ত্রী’কে মানবাধিকার কমিশনের রাজ্য সভাপতি হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। যা আরেকটি ভুয়ো পদ। এই দুই ভুয়ো পদের পর্দাফাঁস করতে এবং প্রতারণার শিকার যুবককে টাকা ফিরিয়ে দিতেই এই অভিযোগ দায়ের করা হয়।
Be the first to comment