চোখের জলে বাবাকে শেষ বিদায় ছেলে বাপ্পার!

Spread the love

চিরবিদায় ‘ডিস্কো কিং’। বাবা যে চলে যাবেন কল্পনাও করতে পারেননি ছেলে বাপ্পা লাহিড়ি। কল্পনা করতে পারেনি বাপ্পি লাহিড়ির পরিবার ও তাঁর অনুরাগীরা। লস অ্যাঞ্জেসে ছিলেন বাপ্পা। পিতৃহারা হওয়ার দুঃসংবাদ পেয়ে তড়িঘড়ি দেশে ফেরেন। তারপরই দেখেন ছেলে অন্তঃপ্রাণ মানুষটি চিরঘুমে শুয়ে আছেন। বাবার শেষকৃত্যের সময় ভেঙে পড়েছিলেন বাপ্পা। যেমনটা হয় আরকী! মুম্বইয়ের ভিলে পার্লেতে বাবার শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন বাপ্পা। হাজির ছিলেন ইন্ডাস্ট্রির কাছের মানুষ ও বাপ্পি লাহিড়ির অনুরাগীরা। চোখের জলে শেষ বিদায়।

বাপ্পি লাহিড়ির অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। বাংলার ছেলে বাপ্পি মুম্বইয়ে গিয়ে তৈরি করেছিলেন নিজের স্বতন্ত্র পরিচয়। আপন করে নিয়েছিলেন পরদেশের মানুষগুলোকে। কিন্তু যতই যাই হোক। বাংলা ছিল তাঁর অন্তরে। মনেপ্রাণে বাঙালি ছিলেন বাপ্পি। খেতে ভালবাসতেন মাছ। তাঁর সাজপোশাকে ছিল চমক। সোনার গয়না পরতেন। তৈরি করেছিলেন স্টাইল স্টেটমেন্ট। তাঁর মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেছে গোটা বলিউড, গোটা দেশ এবং অবশ্যই বাংলা।

মৃত্যুকালে বাপ্পি লাহিড়ির বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। বুধবার মুম্বইয়ের ক্রিটিকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ওই হাসপাতালের ডিরেক্টর ডক্টর দীপক নমযোশি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, একমাসের উপর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বাপ্পি লাহিড়ি। গত সোমবার হাসপাতাল থেকে ছুটি হয়েছিল তাঁর। কিন্তু তারপরেই ফের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মঙ্গলবার লাহিড়ি পরিবারের তরফে তাঁদের বাড়িতেই ডেকে পাঠানো হয় চিকিৎসককে। এরপর ফের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় বাপ্পি লাহিড়িকে। ডাক্তার নমযোশি জানিয়েছেন, একাধিক শারীরিক সমস্যা ছিল তাঁর। জানিয়েছেন, মধ্যরাতে কিছু সময় আগে OSA (obstructive sleep apnea)- এর কারণেই মৃত্যু হয়েছে বাপ্পি লাহিড়ির।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*