শিল্পাঞ্চলে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফেরার সংখ্যা যেমন বেড়েছে, পাশাপাশি বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে ক্রমশ বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও। এবার উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুরের বি.এম.আর. সি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত একসঙ্গে ৮ জন চিকিৎসা কর্মী।
এরপরেই রাতারাতি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বারাকপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতাল। জানা গিয়েছে, বি.এম.আর.সি হাসপাতালের এক সেবিকা সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হন। তিনি ওই হাসপাতালের ডায়ালাসিস বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
আরও জানা গিয়েছে , পানিহাটির করোনা আক্রান্ত এক রোগীর কয়েকদিন আগে ডায়ালাসিস হয়েছিল। তারপর ওই হাসপাতালের ৩২ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। তাঁদের প্রত্যেকের পরে করোনা পরীক্ষা করা হয়, তাতে ৮ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে।
এই ঘটনা শুক্রবার প্রকাশ্যে আসতেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই হাসপাতালের আই সি ইউ বিভাগ বাদ দিয়ে অন্য সব বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঘটনায় ব্যপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে বারাকপুর শহরে।
অন্যদিকে, করোনা সম্পর্কে মানুষকে অভয় দিয়েছেন বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। বারাকপুর মহকুমা ধীরে ধীরে করোনা মুক্ত হতে চলেছে। ৯৯% মানুষ সুস্থ হয়ে উঠছেন। ব্যারাকপুর মহকুমায় কন্টেইনমেন্ট অঞ্চলের সংখ্যা অনেক কমেছে। বর্তমানে তা ১৪৮ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৬২ তে। একটি ক্ষেত্রেও গোষ্ঠী সংক্রমণ ঘটেনি বারাকপুর মহকুমা অঞ্চলে। করোনাভাইরাস সম্পর্কে বৃহস্পতিবার এভাবেই বারাকপুরবাসীকে সচেতন করেছেন বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা।
তিনি বলেন, “করোনাকে ভয় পাবেন না। করোনাকে আমরা পরাজিত করতে পারছি। ৯৯ শতাংশ করোনা আক্রান্ত রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠছেন। কমিউনিটি সংক্রমণ ঘটেনি বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায়। কন্টেইনমেন্ট অঞ্চলের বাসিন্দারা প্রশাসনকে খুব ভালো সাহায্য করছেন। ওখানে মানুষ সরকারি নির্দেশিকা অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন।”
একই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “বারাকপুর মহকুমায় করোনার বিরুদ্ধে ভালো সহযোগিতা পাচ্ছি আমরা। এখানে কিছুদিন আগেও ১৪৮ টি কন্টেইনমেন্ট অঞ্চল ছিল। বর্তমানে তা কমে মাত্র ৬২ টি হয়েছে। ইতিমধ্যেই বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার ৩৫ জন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন। আজকের তারিখে ৮০ জন বিভিন্ন করোনা হাসপাতালে ভর্তি আছেন, আমার বিশ্বাস সবাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসবে। ৯৯% ক্ষেত্রে মানুষ সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে দাবি পুলিশ কমিশনারের।
Be the first to comment