গুলি লেগেছিল চোখে। তাই শেষরক্ষা হল না। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হল বাসন্তীর খিরিশখালি গ্রামের বাসিন্দা তৃণমূল কর্মী সইফুদ্দিন সর্দারের (৩৩)। তারপরেই তেতে উঠল গোটা এলাকা। দেহ নিয়ে বাসন্তী রোড অবরোধ করে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা।
অশান্তি শুরু হয়েছিল সোমবার। তার রেশ রয়ে গেল মঙ্গলবারও। ভাঙচুর, বোমা, গুলিতে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বাসন্তীর খিরিশখালি গ্রাম। এলাকার মানুষের অভিযোগ, এর মূলে রয়েছে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লড়াই। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেল থেকেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা গ্রাম। রাতের অন্ধকারে পুলিশও ঢুকতে পারেনি। মুড়ি মুড়কির মতো বোমা পড়তে থাকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার সাধারণ মানুষ। এক পক্ষ অন্য পক্ষকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলেও অভিযোগ। আজ সকালে গুলিতে জখম হন সইফুদ্দিন সর্দার নামে ওই যুবক। তিনি এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবেই পরিচিত। চোখে গুলি লাগে তাঁর। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে পাঠানো হয় ক্যানিং হাসপাতালে। সেখানে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় ওই তৃণমূল কর্মীর।
এই ঘটনার পরেই উত্তেজিত তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের পথ অবরোধের জেরে ঘন্টাখানেকের জন্য থমকে যায় বাসন্তী হাইওয়ে রোড। এই খবর দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বের কানে পৌঁছলে তাঁরা তড়িঘড়ি পথ অবরোধ তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করে। বাসন্তী তৃণমূল নেতৃত্ব জানান যে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন পাওয়ার পর পথ অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের শাস্তির ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
Be the first to comment