৭৫ তম বর্ষে পদার্পণ করল কুমোরটুলির শিল্পীদের হাতে শুরু হওয়া বাসন্তী দুর্গা পুজো

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- আজ বাসন্তী পুজোর নবমী। বসন্তে দেবী বাসন্তীর আরাধনা হয়। এটিই বাঙালির আদত দুর্গাপুজো। শরতের শারদীয়া হল দেবীর অকালবোধন। কুমোরটুলির শিল্পীদের হাতে শুরু হওয়া বাসন্তী দুর্গা পুজো এবার ৭৫ তম বছরে পা দিল।
দুর্গাপুজোর সময় প্রতিমা গড়ার ব্যস্ততায় কুমোরটুলির শিল্পীদের নাওয়া খাওয়ার সময় থাকে না। পঞ্চমী অবধি প্রতিমা সরবরাহের কাজ চলে। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোয় কুমোরটুলির শিল্পীরা মেতে উঠতে পারে না। কাজের চাপে পুজোর আনন্দ অধরা থেকে যায়। তাই শারোদৎসবের বিকল্প হিসাবে পূর্ববঙ্গ থেকে আসা শিল্পীরা চৈত্র মাসে বাসন্তী দুর্গাপুজো শুরু করেন আজ থেকে ৭৪ বছর আগে।
স্বাধীনতা ও দেশভাগের পর, পূর্ববঙ্গ আসা মানুষরা কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে থাকা শুরু করেন। ঢাকা বিক্রমপুরের একদল মৃৎশিল্পী উত্তর কলকাতার কুমোরটুলিতে আস্তানা গড়েন। মূর্তি গড়াকেই পেশা হিসাবে নিলেন তাঁরা। মৃৎশিল্পী রাখাল পাল, নেপাল পাল, শ্রীকৃষ্ণ পাল, ব্রজেশ্বর পালদের হাত ধরে শুরু হল এই বাসন্তী পুজো। আজ যা বাঙালপট্টির পুজো বলেই পরিচিত। আজও প্রাচীন নীতি মেনে পুজো করছে বর্তমান প্রজন্ম। একজন করে শিল্পী ফি বছর নিখরচায় মূর্তি তৈরি করে দেন। এ বছর প্রতিমা করেছে তপন রুদ্রপালের পরিবার।
ষষ্ঠীর দিন পুজো শুরু হয়। অষ্টমীর দিন অন্নপূর্ণা পুজো ও চণ্ডীর আরাধানা হয়। প্রতি বছর নবমীতে কুমোরটুলির শিল্পীদের পরিবার এখনও একসঙ্গে প্রসাদ খান। আজ এই পুজো কেবল পূর্ববঙ্গীয় শিল্পীদের মধ্যে শুধু সীমাবদ্ধ নেই, গোটা কুমোরটুলির শিল্পীদের পুজো হয়ে উঠেছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*