স্বাধীনতার ৭৫ বছর পেরলেও ধর্ষণের কবল থেকে মুক্তি পায়নি দেশ, পায়নি রাজ্যও। বৃহস্পতিবার এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠলো বাসুদেবপুর থানার পানপুর-কেউটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত শঙ্করপুর গ্রামে। গত চার মাস আগের ঘটে যাওয়া ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলো বৃহস্পতিবার।
গত জুন মাসের এক রবিবারে দুপুর বেলা মা ও মেয়ের ওপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। নবালিকাকে নৃশংস ভাবে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সেই বিচারাধীন মামলার রেশ কাটতে না কাটতে আবারো নৃশংস ধর্ষণের অভিযোগ সেই এলাকায়। সূত্রের খবর, গত রবিবার বেলার দিকে মা ও মেয়ে স্থানীয় মুকুন্দপুরে একটি সোনার দোকানে গিয়েছিল। সেখান থেকে তারা শঙ্করপুরের দিকে ঘুরতে গিয়েছিল। মেয়েটি একটু পিছিয়ে হাঁটছিল। আর মা সামনের দিকে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, শঙ্করপুর খাল ধার থেকে মাঠের দিকে যাওয়ার রাস্তা থেকে দু-তিনজন কিশোরীকে ওড়না দিয়ে মুখ চেপে পাটক্ষেতে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। সেই দৃশ্য একজন আবার মোবাইলে ভিডিও রেকডিংও করে বলে অভিযোগ। কিশোরীর খোঁজে সন্ধের দিকে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গেলে তাদের সঙ্গে অভিযুক্তদের বাকবিতণ্ডা বেধে যায়।
এছাড়াও ওই কিশোরীর কাকা বাপন মন্ডলের পিঠে একজন চাকু দিয়ে আঘাত করে। রাতেই নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে বাসুদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সোমবার ভোরে পুলিশ ঘটনায় জড়িত আলম মন্ডল ও আরাফত মন্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের বাড়ি শঙ্করপুর এলাকায়। স্বভাবতই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।এলাকার মহিলারা ভুগছেন তীব্র নিরাপত্তাহীনতায়।
Be the first to comment