অশোক লেল্যান্ডের ৪০৭ লাক্সারি বাস। তাতে আছে শৌচাগার, বাতানুকূল ব্যবস্থা ও এলিভেটর। প্রয়োজনে খুলে যাবে বাসের ছাদ। সেখানে দেখা যাবে এক ছোট্ট মঞ্চ। তার ওপরে দাঁড়িয়ে চারপাশের জনতার উদ্দেশে ভাষণ দেওয়া যাবে। এমনকী রোদের মধ্যেও দাঁড়িয়ে ভাষণ দিতে বাধা নেই। মাথার ওপরে আচ্ছাদন দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। এই বাসে চড়ে ‘গৌরব যাত্রা’-য় বেরবেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে। আগামী বিধানসভা ভোটের আগে মানুষকে বুঝিয়ে বলবেন, তাঁর সরকার কী কী ভালো কাজ করেছে।
শনিবার রাজসমন্দ জেলায় চারভুজ মন্দিরে পুজো দিয়ে শুরু হবে বসুন্ধরার যাত্রা। আগামী ৪০ দিন ধরে তিনি রাজ্যের ১৬৫ টি বিধানসভা কেন্দ্রে ৬ হাজার কিলোমিটার সফর করবেন।
রাজস্থানে এখন বিজেপির জনপ্রিয়তা নিম্নমুখী। গত ফেব্রুয়ারিতে রাজ্যে যে উপনির্বাচন হয়েছিল তাতে আলোয়ার ও আজমির লোকসভা কেন্দ্র ও মন্ডলগড় বিধানসভা কেন্দ্রটি গেরুয়া ব্রিগেডের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে কংগ্রেস। এবছরের শেষে রাজ্যে বিধানসভা ভোট । তার কয়েকমাস আগে থেকেই প্রচারে নেমে পড়ছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় নেতারা বসুন্ধরা রাজেকেই দলের মুখ হিসাবে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গুলাবচাঁদ কাটারিয়া একসময় বসুন্ধরা রাজ্যের প্রবল বিরোধী ছিলেন। সম্প্রতি তিনিও বলেছেন, বসুন্ধরাজির নেতৃত্বেই আমরা নির্বাচনে লড়ব।
প্রদেশ কংগ্রেসের শচীন পাইলট বলেছেন, বসুন্ধরা রাজে দলের সমর্থন পাচ্ছেন বটে, কিন্তু ভোটে জিততে হলে তাঁকে মানুষের সমর্থন পেতে হবে। তিনি গত চার বছরে একবারও মানুষের সঙ্গে দেখা করেননি। তিনি কি আশা করেন, গৌরব যাত্রায় বেরলেই মানুষ ভিড় করে তাঁর কথা শুনতে আসবে?
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বসুন্ধরার সফরে মানুষ কীভাবে সাড়া দেয়, তা দেখেই আন্দাজ করা যাবে, রাজস্থানে বিজেপির জনসমর্থন এখন কী পরিমাণে আছে।
Be the first to comment