ভবানীপুর উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৩০ সেপ্টেম্বরই। এই নির্বাচনের উপর কোনও স্থগিতাদেশ দিল না কলকাতা হাই কোর্ট। পাশাপাশি মামলার প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনকে জরিমানা করল উচ্চ আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। নির্বাচন কমিশনকে জরিমানা করার প্রেক্ষিতে পরবর্তী শুনানি হবে ১৭ নভেম্বর।
এর আগে এই মামলার শুনানি চলাকালীন গত ২৩ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছিল, কোন বাধ্যবাধকতা থেকে দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন করানো হচ্ছে? এই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে কমিশন হলফনামা জমা দেয়। তবে তাতে খুশই হয়নি উচ্চ আদালত।
আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘রাজ্যের মুখ্যসচিব উপনির্বাচনের আর্জি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছিলেন। সেই চিঠিতে সাংবিধানিক সঙ্কটের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। মুখ্যসচিবের এই বক্তব্যে কেন সম্মতি দেওয়া হল, আগে নির্বাচন কমিশন তার উত্তর দিক। শুধুমাত্র একটি কেন্দ্রে কেন নির্বাচন করা হবে? বাকি সব কেন্দ্রে নির্বাচন করা হবে না কেন?’
পাশাপাশি, আদালত প্রশ্ন তোলে, জয়ী প্রার্থী জয়ের পরই গুরুতর কোনও কারণ ছাড়া পদত্যাগ করলেন, এবং সেই আসনে শুধুমাত্র আর একজন প্রার্থী যাতে সহজে জয়লাভ করতে পারেন, তার জন্য তাঁকে লড়াইয়ের সুযোগ করে দিলেন, এর দায় আমজনতার উপর কেন বর্তাবে? কেনই বা মানুষের করের টাকায় সেই বিপুল খরচ সামাল দেওয়া হবে? যদিও সওয়াল জবাব শেষে নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধা রাখল না উচ্চ আদালত। স্বভাবতই আদালতের নির্দেশে স্বস্তিতে থাকবে তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Be the first to comment