আবারও ময়দানেই বসতে চলেছে বাজি বাজার। আগামী ২২ থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত ময়দানেই বসবে বাজি বাজার। শুক্রবার বিকেলে সেনাবাহিনীর তরফে প্রয়োজনীয় অনুমতি মিলেছে। তারপর জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে সারা বাংলা আকাশ বাজি ব্যবসায়ী সমিতি।
আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন ৷ আলোর উৎসবের প্রস্তুতি চলছে সারা দেশজুড়ে। বাঙালিও প্রস্তুত দীপাবলীর আলোয় নিজেকে আলোকিত করতে ৷ দীপাবলি, কালীপুজো মানেই তো বাজি ৷ আর সেই বাজি হতে হবে মনপসন্দ ৷ বাজি নিয়েই অনিশ্চয়তা দূর হল শুক্রবার।
সমিতির সভাপতি বাবলা রায় বলেন, ২২ তারিখ থেকেই পুরোদমে শুরু হয়ে যাবে বাজি বাজার। গত বছরে সেনাবাহিনীর অনুমতি আসতে দেরি হয়েছিল ৷ কালীপুজোর মাত্র দুদিন আগে সেই অনুমতি মেলে। সারা বাংলা আতসবাজি ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে প্রশাসনের দীর্ঘ টানাপোড়েন চলে। শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ কলকাতার বিবেকানন্দ পার্কে বসেছিল বাজি বাজার। এ বছর সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে বলে ধরে নিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু সুখবর এল আগেই ৷
গত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বছর বহু আগে থেকেই শুরু হয়েছিল কাজ। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে যাবতীয় কাজকর্ম সেরে রাখা হয়েছিল আগেই। ফলে প্রস্তুতি সেরেছিল আতশবাজি ব্যবসায়ী সমিতিও। সমিতির সভাপতি মৌখিকভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন ময়দানেই বসতে চলেছে এবারের বাজি বাজার। কিন্তু শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত সেনাবাহিনীর তরফে প্রয়োজনীয় অনুমতি না আসায় হতাশ হয়ে যান বাজি ব্যবসায়ীরা। তাঁরা ধরেই নেন, এবারও ময়দানে হবে না বাজি বাজার। কিন্তু সন্ধ্যায় মেলে সুসংবাদ। দিল্লি থেকে চলে আসে সেনার প্রয়োজনীয় অনুমতি।
বৃহস্পতিবার আতশবাজি পরীক্ষা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ৩৪ টি নতুন বাজির পরীক্ষা হয়েছে। মাত্র পাঁচটি বাজি পাশ করেছে। এ প্রসঙ্গে বাবলা রায়ের দাবি, সারা দেশে যেভাবে ১৩৫ ডেসিবেল শব্দসীমা বেঁধে দেওয়া আছে, আমাদের ক্ষেত্রেও সেই নিয়ম মানা হোক।
Be the first to comment