রূপ বিশেষজ্ঞ শর্মিলা সিং ফ্লোরা –
আমরা অনেক সময় নিজেদের ত্বককে সেনসিটিভ করে তুলি। নিজেদের দোষে কতগুলো বাজে কিছু ব্রান্ড ব্যবহার করে স্টেরয়েড লাগিয়ে এবং অযথা স্কিনের উপর কিছু কেমিক্যাল ব্যবহার করে।
সেনসিটিভিটি ত্বকে দুভাবে আসতে পারে –
১. একটা ফটো সেনসিটিভ স্কিন
২. আরেকটা হাইপার সেনসিটিভ স্কিন
দুই ধরনের স্কিনেই খুব খারাপ পরিণতি হয়। তখন কিছুই ব্যবহার করা যায় না। সবসময় লালভাব থাকে এবং কিছু মাখলেই জ্বালা জ্বালা করে ফুলে যায় স্কিন। আবার কখনও কখনও র্যাশও বেরিয়ে যায়।
ফটো সেনসিটিভ স্কিনে রোদে বেরোলে বা অত্যন্ত গরমে বেশী ক্ষতি করে। আর হাইপার সেনসিটিভ স্কিন সবসময়ই সেনসিটিভ হয়ে থাকে। এই ধরনের স্কিনে উপরের লেয়ারটা কুঁচকে যায়। যার ফলে ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। খুবই যত্ন সহকারে এই ধরনের স্কিনকে যত্নে রাখতে হয়।
ফ্লোরার সেনসিটিভ ফেসওয়াশ/ গোল্ড ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়া যেতে পারে, সাথে রোজ টোনার অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে।
সানস্ক্রিন হিসাবে জেলজাতীয় কোনও সানস্ক্রিন যেমন ফ্লোরার সান জেল ব্যবহার করা খুব দরকার।
এই ধরনের স্কিনে কোনও রকমভাবেই জোর করে ঘষা উচিত নয়, এতে স্কিন আরও বেশী সেনসিটিভ হয়ে যায়। একটা ক্রিম এইধরনের স্কিনে লাগানো অত্যন্ত জরুরী। সেক্ষেত্রে ফ্লোরা ফেস ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে। যেহেতু এই ধরনের স্কিন বেশীরভাগ সময়ই হিট হয়ে থাকে, তাই কোল্ড কমপ্রেস দিনে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর দিনে একবার করে ফ্লোরার অ্যালোভেরা জেলটা ফ্রিজে রেখে সেখান থেকে নিয়ে সরাসরি মুখে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে।
কোনও পিলিং বা ফেসিয়াল এই ধরনের স্কিনে শুরুর দিকে না করাই ভালো, যতদিন না স্কিনের ড্যামেজ রিপেয়ার হচ্ছে।
Be the first to comment