মহালয়ার আগে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবে গিয়ে ‘উৎসব উৎসারিত’ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

Spread the love

 

রোজদিন ডেস্ক:-

পুজো উদ্বোধন নয়। মহালয়ার আগে ‘উৎসব উৎসারিত’ করলেন তিনি। মঙ্গলবার লেকটাউনের শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবে গিয়ে সুনির্দিষ্ট ভাবে এ কথা জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর পুজো বলে পরিচিত শ্রীভূমিতে শারদোৎসবের সূচনা করতে গিয়ে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আজ উৎসব উৎসারিত হল। এর পরে অনেকেই বলতে পারেন, ‘পিতৃপক্ষে পুজোর উদ্বোধন করে দিলেন’। কিন্তু আমি তেমন নই। ধর্ম সম্পর্কে আমার যথেষ্ট জ্ঞান আছে। আমার বাবা নিয়মিত চণ্ডীপাঠ করতেন।’’
শ্রীভূমির পুজোয় রাজ্যে সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং বন্যা পরিস্থিতির প্রসঙ্গ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, বুধবার হুগলির পাশাপাশি মালদহ এবং মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকাতেও ত্রাণ পাঠানো হবে। সেই সঙ্গে আবার সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতিকে ‘ম্যান মেড’ বলেন তিনি। আদিগঙ্গার পারের বাসিন্দা হওয়ার কারণে তিনি যে ভরা কটালের জোয়ারের সময় অনেক বার প্লাবনের মুখোমুখি হয়েছেন সে কথা জানিয়ে মমতা বলেন, ‘‘বুধবার মহালয়ার (অমাবস্যা) জোয়ার আসবে। সকাল ৯টা ১৩ থেকে বিকেল ৩টে ১৭ পর্যন্ত সূর্যগ্রহণ। যাঁদের গঙ্গার তীরে বাড়ি তাঁরা বুঝতে পারবেন। আমার বাড়ি আদিগঙ্গার পারে। সেখানেও জল ঢুকে গিয়েছিল।’’
এদিন ওই মঞ্চ থেকেই দমকলের নতুন দুটি স্টেশনের উদ্বোধন করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য বলেন, “আগামীকাল থেকে মাতৃপক্ষ শুরু হবে, মহালয়ার পর থেকে আমি উদ্বোধনের কাজটা করি। কিন্তু দুটো ফায়ার ব্রিগেডের উদ্বোধন ছিল। এটা জরুরি কাজ। তাই আগেই করলাম।”
শ্রীভূমির পুজো মানেই উপছে পড়া ভিড়। গতবারও তীব্র যানজট তৈরি হয়েছিল। অদূরে এয়ারপোর্ট। এবারে যাতে পুনরায় ওই যানজটের পরিস্থিতি না হয়, সেদিকে উদ্যোক্তাদের বাড়তি নজরের পরামর্শ দেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “কারও যেন ফ্লাইট মিস না হয়, সেটা দেখতে হবে উদ্যোক্তাদের।”
মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান, “এখন আমরা কিছু ই-সাইকেলও দমকলকে দিচ্ছি। যাতে কোথাওএমার্জেন্সি হলে তৎক্ষণাও ঢুকতে পারে। কারণ, অনেক রাস্তায় দমকলের বড় গাড়ি ঢুকতে পারে না।”
প্রসঙ্গত, গত বছর অভিযোগ উঠেছিল, মহালয়ার আগে থেকেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে পুজো উদ্বোধন শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু শাস্ত্রের নিয়ম দেখিয়ে কেউ কেউ দেবীপক্ষের আগেই পুজোর উদ্বোধন করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। মনে করা হচ্ছে সেই বিতর্ক এড়াতেই এ বার সুনির্দিষ্ট ভাবে পিতৃপক্ষে পুজোর উদ্বোধন না করার প্রসঙ্গ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*