
রোজদিন ডেস্ক: রামনবমীর আগে ফের আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার। আনন্দপুরের পর এবার ঘটনাস্থল হাওড়া স্টেশন। ধৃতের নাম আমজাদাউল শেখ (৩৯)। বাড়ি মুর্শিদাবাদে। তাঁকে শুক্রবার রাতে হাওড়া স্টেশন থেকে গ্রেফতার করেন কলকাতা পুলিশের এসটিএফের গোয়েন্দারা। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র-সহ বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ও গুলির খোল।
এদিন কলকাতা পুলিশের এসটিএফের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত নগরপাল ভি সলেমন নেশাকুমার বলেন, “কিছুদিন আগে আনন্দপুর এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁদের জেরা করেই এই অভিযুক্তের সন্ধান মিলেছে। অভিযুক্তকে শনিবার আদালতে পেশ করা হবে। তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে এই আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহের ঘটনার নেপথ্যে আর কারা কারা রয়েছে তাও খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা।”
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে আনন্দপুর থানা এলাকা থেকে এক মহিলা ও এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেন কলকাতা পুলিশের এসটিএফের গোয়েন্দারা। তাঁদের থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রায় ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র। জানা গিয়েছে, তাঁরা আন্তর্জাতিক আগ্নেয়াস্ত্র পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত। বাইরের রাজ্য থেকে তাঁরা এ রাজ্যে সেই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি পাচারের উদ্দেশ্যে এসেছিলেন বলে খবর। তাঁদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আমজাদাউল শেখের সন্ধান পান গোয়েন্দারা।
সেই মতো আগে থেকেই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তদন্তকারীরা হাওড়া স্টেশনে মোতায়েন ছিলেন। সেখান থেকেই হাতেনাতে আমজাদাউলকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার হয়। তাতেই ছিল আগ্নেয়াস্ত্র।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি ওয়ান শটার পিস্তল, চারটে অসমাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র। এছাড়াও মিলেছে ১০টি কার্তুজ ও চারটি ব্যারেল। জানা গিয়েছে ওই বন্দুক ও কার্তুজ বিহার থেকে মালদহ হয়ে কলকাতা নিয়ে হচ্ছিল।
কলকাতা পুলিশের এসটিএফের গোয়েন্দারা ধৃতের থেকে যে সকল বিষয়গুলি জানতে চাইছেন তা হল, তিনি কী করতে কলকাতায় এসেছিলেন? তাঁর কাছে আগ্নেয়াস্ত্র এল কোথা থেকে? কাকে বা কাদের এই আগ্নেয়াস্ত্র দিতে এসেছিলেন তিনি? কে বা কারা তাঁকে পাঠিয়েছিলেন? এই প্রশ্নগুলোরই উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।
Be the first to comment