রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া বেলঘরিয়ায়, ৭ দিন মেয়ের মৃতদেহ আগলে মা

Spread the love

রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া এবার বেলঘরিয়ায়৷ লকডাউনে গত সাত দিন ধরে মেয়ের মৃত দেহ আগলে মা৷ এই ঘটনায় বেলঘরিয়া এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷ খবর দেওয়া হয়েছে পুলিশকে৷

স্থানীয় সূত্রে খবর, বেলঘরিয়ার বিএন ঘোষাল রোডে থাকেন মা ও মেয়ে৷ মঙ্গলবার দুপুরে ওই বাড়ি থেকে পচা গন্ধ বের হতে থাকে৷ তখন প্রতিবেশীরা বাড়ির ভিতরে গিয়ে দেখেন বিছানার উপর পরে আছে মেয়ের মৃতদেহ৷ তার পাশে মৃত মেয়ের দেহ আগলে বসে রয়েছে মা৷ মৃতার নাম পারমিতা ভট্টাচার্য(৩৭)৷ তার বাবা বছর খানেক আগেই মারা গিয়েছেন৷

এর আগে এর আগেও রবিনসন স্ট্রিটের পুনরাবৃত্তি ঘটেছিল ভবানীপুরে৷ ভাইয়ের দেহ আগলে বসে ছিল দিদি। দুর্গন্ধ পেয়ে থানায় খবর দেওয়া হলে ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় এক ব্যক্তির পচাগলা দেহ। মৃতের দিদিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান বেশ কয়েকদিন আগেই তার মৃত্যু হয়েছিল৷

জানা গিয়েছিল, ভবানীপুর থানার মাধব চ্যাটার্জী লেনের বাসিন্দা ওই ব্যক্তির নাম শান্তনু দে। জমি প্রমোটারকে দিয়ে ওই ফ্ল্যাটটি পেয়েছিলেন শান্তনু বাবু ও তাঁর দিদি মহাশ্বেতা। দীর্ঘদিন ধরে সেখানেই থাকতেন দুই ভাইবোন। আর্থিক সমস্যাও ছিল না৷

সূত্রের খবর, লকডাউনের কারণ কলকাতার ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি চাল-ডাল-আলু পৌঁছে দিচ্ছিলেন কাউন্সিলরের লোকেরা৷ সেই সময় শান্তনুবাবুর ফ্ল্যাটের দরজা খুলতেই দুর্গন্ধ পান তাঁরা। এরপর একপ্রকার জোর করে ঘরে ঢুকে পড়ে কাউন্সিলরের লোকেরা৷ তখনই নজরে পড়ে শান্তনুবাবুর পচাগলা দেহ। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় ভবানীপুর থানায়। রাতেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ।

প্রায় একই ঘটনাটি ঘটেছিল বেহালার পর্ণশ্রী থানা এলাকার ডঃ এম জি রোডে৷ বেহালার বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ (৮৫)৷ মৃত্যুর পর রবীন্দ্রনাথের দেহ ঘরেই রেখে দেন ছোট ছেলে অজিতকুমার ঘোষ৷ এমনকি ওই মৃত্যুদেহের সঙ্গে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছিলেন অজিতকুমার৷ মধ্যবয়স্ক অজিতবাবু অবসরপ্রাপ্ত বেসরকারি কর্মী৷

একদিন সকালে বেহালার ওই বাড়ি থেকে পচা গন্ধ বের হতে থাকে৷ খবর দেওয়া হয় পুলিশকে৷ পুলিশ এসে ঘর থেকে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ (৮৫) এর পচা গলা দেহ উদ্ধার করে৷ এবং মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়৷

এর আগেও রবিনসন স্ট্রিটের পুনরাবৃত্তি ঘটেছিল৷ তিন বছর মায়ের নশ্বর দেহ ঘরে রেখে দিয়েছিল ছেলে৷ মৃতা মাকে ঘরের ডিপ ফ্রিজে রেখে দেওয়া হয়েছিল৷ যদিও পাড়াপড়শিদের বলা হয়েছিল,মায়ের দেহ পিস হাভেন-এ রাখা হয়েছে৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*