
রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- ‘আমি যখন দুর্গা পুজো করি, কালী পুজো করি তখন তো কেউ এই প্রশ্ন তোলেন না। তাহলে ইফতারে যোগ দিলে প্রশ্ন উঠছে কেন?’, ফুরফুরা শরিফে গিয়ে নাম না করে বিরোধীদের তোপ মমতার।
সরাসরি নয়, কিন্তু ঠারেঠোরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বুঝিয়ে দিলেন, ফুরফুরা শরিফে তাঁর এই সফর ঘিরে কোনওরকম রাজনৈতিক উদ্দেশ্য খুঁজতে যাওয়া অনুচিত। সোমবার প্রায় এক দশক পর ফুরফুরা শরিফে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মনে রাখবেন আমি যেমন খ্রীশ্চানদের অনুষ্ঠানে যাই তেমনই ঈদ মুবারকেরও যাই। ইফতার নিজে করি, পাঞ্জাবিদের গুররদোয়ারেও যাই, প্রতিটি ধর্মের অনুষ্ঠানেই আমি যাই। কারণ, আমি মনে করি বাংলার মাটি সম্প্রীতির মাটি। তাই যেমন দোলের শুভেচ্ছা জানিয়েছি তেমনই রমজানে সকলের দোয়া প্রার্থনা করেছি।’
ফুরফুরায় যে পলিটেকনিক কলেজ এবং ১০০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে তা আবু বকর সাহেবের নামেই নামকরণ করা হবে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ওবিসি সংরক্ষণের বিলটার জন্য রিক্রুটমেন্ট আটকে রয়েছে। তৈরি করা জিনিস থাকা সত্ত্বেও ডাক্তার, নার্সদের রিক্রুটমেন্ট করতে পারছি না। এগুলোর সমস্যা মিটে গেলে ওগুলো চালু হয়ে যাবে।
বস্তুত, সোমবারে মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর ঘিরে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির তরফে নানারকম মন্তব্য করা হয়েছিল।কেউ বলেছিলেন, সামনের বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটব্যাঙ্ক বাড়াতে যাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু রাজ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখতে তিনি যে কোনও আপস করতে রাজি নন তা বোঝাতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলার মাটি সম্প্রীতির মাটি’। সকলের মঙ্গল কামনায় মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সকলের হয়ে দোয়া করছি। সম্প্রীতি, শান্তি, ঐক্য বজায় থাকুক। সবাই ভাল থাকুক’। দোলের পর এদিন ফুরফুরা শরিফে গিয়ে পীরজাদাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে মমতার।
Be the first to comment