উত্তর ভাসছে, কিন্তু দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে শুধুই বৃষ্টির জন্য হাহাকার। ভ্যাপসা গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তির কারণে ঘর্মাক্ত দক্ষিণবঙ্গবাসী। আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে মৌসুমী অক্ষরেখা সক্রিয় না থাকায় বর্ষা আসার এক মাস পরেও সেভাবে বৃষ্টির দেখা মেলেনি। দক্ষিণবঙ্গে ৪০ শতাংশ , কলকাতায় ৫০ শতাংশ এবং গোটা রাজ্যে সার্বিক হারে ১৩ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতির কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
বাজারে জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া, তার মধ্যে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় ধানের উপর পরবর্তী কোপ করতে চলেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এবার ধান উৎপাদন যথেষ্ট কম হয়েছে। চাষিরা বলছেন আগামী ৪/৫ দিনের মধ্যে যদি বর্ষার বৃষ্টি না হয় তাহলে ধান চাষে অনেক বড় লোকসান দেখা দেবে। হাওয়া অফিসের কর্তারা জানাচ্ছেন, চলতি সপ্তাহে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত নেই। রাজ্যজুড়ে আংশিক মেঘলা আকাশ এবং বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্তভাবে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি হবে। তবে ২১ জুলাই শুক্রবার বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। ঐদিন পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়া জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেশি হবে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের। তবে তাতে গরম খুব একটা কমবে না। উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পরিমাণ বেশ কিছুটা বাড়বে।
Be the first to comment