
রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- আর জি কর মেডিকেল কলেজের আন্দোলন অনেকটা স্থিমিত হলেও পুরোপুরি থামেনি। এই পরিস্থিতিতে বুধবার বিধানসভায় স্বাস্থ্য দপ্তরের বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,’আমরাও চাই আর জি করের মেয়েটি বিচার পাক।”
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় জানান আরজিকরের ঘটনায় তিনি মর্মাহত। তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় প্রথম থেকেই তিনি দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এমনকি মৃত্যুদণ্ডের পক্ষেও সাওয়াল করেছেন। এই ধরনের ঘটনার জন্য তিনি নতুন আইনও এনেছিলেন যা এখনো রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে নিম্ন আদালত দোষী কে ফাঁসির পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার আদালতে অ্যাপিল ও করেছিল, তবে আদালত রাজ্যের যুক্তি গ্রহণ করেনি।
এ প্রসঙ্গে বিরোধীদের কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন,’আগে নিজেকে সম্মান জানাতে শিখুন, সম্মান করতে শিখুন। বাংলাকে অসম্মান করবেন না।’
এই পরিস্থিতিতে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। এদিন বাজেট আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগে হাসপাতালে ঢোকার গেট ছোট ছিল, ওয়ার্ডে ইদুর বিড়াল ঘুরে বেড়াত। এখনো কিছু জায়গায় হয়তো এমন কিছু দেখা যায়, তবে সর্বত্র নয়।’
এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বাংলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দেশের মধ্যে সেরা বলে দাবিও করে তিনি বলেন ইতিমধ্যে ১৪ হাজার নতুন চিকিৎসক নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যপরিসেবার জন্য ৭০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন হীরের ওপর জিএসটি নেই তার কারণ এটি গুজরাটের শিল্প। অথচ বাংলায় জিরের ওপর জিএসটি বসানো হয়েছে। এদিন তিনি বিধানসভায় আরো বলেন, এখনো পর্যন্ত বাংলায় ৪৩ টি মাল্টি সুপার স্পেশালিস্ট হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। যার টাকা আছে সে চেন্নাই বা তামিলনাড়ু যেতে পারেন কিন্তু বাংলায় বিনামূল্যে চিকিৎসা হয় এমনকি বাইরের রাজ্যের মানুষও এখানে এসে চিকিৎসা করান।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘এটি সবার জন্য নয়, একটি নির্দিষ্ট শ্রেণীর মানুষের জন্য, কিন্তু স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প সকলের জন্য, যেখানে ইতিমধ্যে ৯ কোটি মানুষ এই পরিষেবা পেয়েছেন। বেসরকারি হাসপাতাল ১ কোটিরও বেশি মানুষ স্বাস্থ্যসাথী সুবিধা নিয়েছেন।’ মুখ্যমন্ত্রী এদিন বাংলায় স্বাস্থ্য পরিসেবার উন্নতির প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন এস এস কে এম ও উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের অত্যাধুনিক ক্যান্সার সেন্টার তৈরি করা হচ্ছে। চিকিৎসকদের বেতন বৃদ্ধি করা হচ্ছে এবং রাজ্যের ৯৯% টিকাকরণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর পাশাপাশি নিয়োগ প্রসঙ্গে বিরোধীদের আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন বিরোধীরা বারবার নিয়োগ আটকাতে আদালত যাচ্ছে। ওবিসি সংক্রান্ত আদালত একটি নির্দেশ দিয়েছেন। ওবিসি নিয়ে সার্ভে চলছে, এই সার্ভে যদি সুপ্রিম কোর্টে অনুমোদিত হয় তাহলে নিয়োগ নিয়ে সমস্যা কেটে যাবে।
Be the first to comment