পুজোর কার্নিভালে ‘সেরা গান’ মমতার লেখা ও সুর করা ‘আমার আড়ালে, আমার আবডালে’

Spread the love

 

রোজদিন ডেস্ক :-

পুজোর কার্নিভালে ‘সেরা গান’ মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ও সুর করা ‘আমার আড়ালে, আমার আবডালে’। মঙ্গলবার রেড রোডে পাঁচ ঘণ্টার উৎসব জুড়ে ছিল চমক, উন্মাদনা এবং আনন্দ। অনুষ্ঠানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

২০১৬ সালে মমতার উদ্যোগেই শুরু হয় দুর্গাপুজো কার্নিভাল। করোনার কারণে মাঝে দু’বছর কার্নিভাল করা সম্ভব হয়নি। তবে গত কয়েক বছরে বিজয়া দশমীর পর একটি নির্দিষ্ট দিনে সরকারের এই কার্নিভাল ঘিরে উন্মাদনা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বার যদিও পরিস্থিতি অন্য রকম ছিল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ভালয় ভালয় মিটল ৮৯টি পুজোকমিটির উপস্থিতিতে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান।


মুখ্যমন্ত্রীর লেখা এবং সুর করা গানটি কার্নিভালের ‘সেরা’র স্বীকৃতি পেয়েছে। গানটি গেয়েছেন শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশ-বিদেশের বিশেষ অতিথি সমাগমে জমজমাট কার্নিভালে নৃত্যশিল্পীদের তালে তাল মিলিয়ে নেচেছেন মমতাও।
আলো ঝলমলে মঞ্চে মমতার মন্ত্রিসভার সদস্যেরা তো ছিলেনই, তা ছাড়াও অনুষ্ঠান আলো করে ছিলেন শিল্পী থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট জনেরা। অনুষ্ঠানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মমতার পাশে দেখা গেল তৃণমূলের ‘মহিলা ব্রিগেড’কে। তৃণমূল সাংসদ সায়নী ঘোষ, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, জুন মালিয়া যেমন ছিলেন, তেমনই দেখা গিয়েছে প্রাক্তন সাংসদ নুসরত জাহানকেও। ছিলেন বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী, অভিনেত্রী প্রিয়া পাল, ‘মিঠাই’ খ্যাত সৌমিতৃষা কুন্ডু, শ্রীতমা ভট্টাচার্য, দিগন্ত বাগচীরা। নৃত্য পরিবেশনা করেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এবং অভিনেত্রী-বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার অভিনেত্রী তৃণা সাহা এবং অভিনেতা সৌরভ দাসের মতো তৃণমূলকর্মী ছিলেন অনুপস্থিত।


যদিও এবারের কার্নিভালে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কেও দেখা যায়নি। প্রতি বছরই রাজ্য সরকার আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা গিয়েছে। তবে সৌরভের স্ত্রী, নৃত্যশিল্পী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের স্কুল ‘দীক্ষা মঞ্জরী’র তরফে পরিবেশিত নৃত্যানুষ্ঠান ছিল বুধবারের রেড রোডে। ডোনার নির্দেশনায় পরিবেশিত হয় নাচ। যে গানে ওই নাচ পরিবেশিত হয়েছে, সেটি ছিল মুখ্যমন্ত্রীর লেখা ‘আমার আড়ালে, আমার আবডালে।’
রাজ্য সরকার আয়োজিত দুর্গাপুজো কার্নিভাল শুরু হয়েছিল বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টেয়। মুখ্যমন্ত্রী যখন রেড রোডে পৌঁছন, তখনও কার্নিভালের একটা বড় অংশই ছিল ফাঁকা। তবে পাঁচ ঘণ্টা পরে যখন অনুষ্ঠান শেষ হল, তখন মানুষের ঢল দেখা গিয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*