মহানগরীতে ফের অশান্তি পাকানোর চেষ্টা আইএসএফ- এর। শহরের প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলায় আগেই রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন নওশাদরা, পুলিশ বোঝানোর চেষ্টা করতে গেলে উল্টে পুলিশের উপরই চড়াও হন আইএসএফ কর্মী সমর্থকেরা বলেই অভিযোগ। দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যের বিরুদ্ধে ডোরিনা ক্রসিংয়ে অবস্থান বিক্ষোভের নামে পরিকল্পিতভাবেই অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করেন ISF-কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশ তাঁদের অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নিতে বললে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। আইনকে নিজের হাতে তুলে নিয়ে পুলিশের উপর বল প্রয়োগ করার অভিযোগ নওশাদ সিদ্দিকির দলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি-সহ ১৯ জন গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার গ্রেফতার আরও ২ আইএসএফ কর্মী। লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে খবর। এর মাঝেই কলকাতাকে কার্যত স্তব্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিলেন ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকি।
বুধবার ধর্মতলায় বিক্ষোভ এবং সেখান থেকে মিছিল করে রাজভবনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি ফুরফুরা শরীফের পীরজাদার দাবি পুলিশ এই মিছিল আটকাতে চাইলে তাঁরা কোন বাধা মানবেন না। বৃহস্পতিবার সাধারণতন্ত্র দিবস এবং সরস্বতী পুজো। তার প্রাক্কালে কলকাতায় পরিকল্পিতভাবে গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছে আইএসএফ এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন পীরজাদা , তিনি বলেন “ধর্মতলায় গিয়ে বসে পড়ব। এর শেষ দেখে ছাড়ব। ” এখনও পর্যন্ত ভাঙড়কাণ্ডে মোট ৪৬ জন ISF কর্মী-সমর্থককে গ্রে*ফতার করা হয়েছে ।
Be the first to comment