নির্ভয়া মামলায় কেন্দ্রের দায়ের করা পিটিশনের রায় দিতে গিয়ে কোর্টরুমেই জ্ঞান হারালেন মামলার অন্যতম বিচারপতি আর ভানুমতী। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে হুইচেয়ারে বসিয়ে কোর্টরুমের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতির প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছিল চার দোষীর একজন বিনয় শর্মা। সেই পিটিশন খারিজ হয়ে গেছে আজ শীর্ষ আদালতে। অন্যদিকে আইনি প্রক্রিয়ায় বার বার কেন ফাঁসি পিছিয়ে যাচ্ছে এবং চার অপরাধীকে আলাদা করে ফাঁসিতে ঝোলানো যাবে না কেন, এই সওয়াল তুলে শীর্ষ আদালতে পিটিশন দাখিল করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই মামলার শুনানি চলাকালীনই আচমকা জ্ঞান হারান বিচারপতি আর ভানুমতী।
দিল্লি হাইকোর্ট নির্ভয়া কাণ্ডে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত চার অপরাধীকে সাত দিন সময় দিয়েছে। জানিয়েছে, ফাঁসির বিরুদ্ধে যাবতীয় আইনি রাস্তার সুযোগ নিতে চাইলে, তা এর মধ্যেই নিয়ে ফেলতে হবে। এই সাত দিনের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে চার অপরাধীর নামে নতুন করে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করতে রাজি হয়নি দিল্লির পাটিয়ালা হাউস কোর্ট। একই ভাবে সুপ্রিম কোর্টও এ দিন সাত দিনের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে এ বিষয়ে নাক গলাতে চায়নি। দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়েছিল, চার অপরাধীকে একসঙ্গে ফাঁসি দিতে হবে। কারণ, একই অপরাধের জন্য তাদের একই শাস্তি হয়েছে।
Be the first to comment