তাঁর নামে লুক আউট নোটিস জারি রয়েছে। খোঁজ পাওয়া মাত্রই তাঁকে গ্রেফতার করার জন্য মুম্বই পুলিসকে নির্দেশ দিয়েছিল সিআইডি। গ্রেফতারও করা হয়। কিন্তু যতক্ষণে সিআইডি গিয়ে পৌঁছল, ততক্ষণে মুম্বই পুলিসের হেফাজত থেকে চম্পট দিয়েছেন সুজিত মণ্ডল। প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষের দেহরক্ষী ছিলেন কনস্টেবল সুজিত। তাঁকে ভারতীর ‘ছায়াসঙ্গী’ হিসাবেও চিনত জঙ্গলমহল।
প্রতারণা মামলায় ভারতী ঘোষের সঙ্গে সুজিত মণ্ডলের বিরুদ্ধেও চার্জশিট দিয়েছে সিআইডি। কিন্তু ভারতী ঘোষের সঙ্গে ফেরার সুজিত মণ্ডল। শুক্রবার সন্ধ্যায় মুম্বই পুলিসের কাছ থেকে সিআইডি জানতে পারে, মুম্বইয়ের লোকমান্য তিলক থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছেন সুজিত মণ্ডল। তৃণমূল কংগ্রেস একাংশ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। মুম্বই পুলিসের কাছ থেকে এই খবর পাওয়ার পরই সুজিত মণ্ডলকে গ্রেফতার করতে অনুরোধ করে সিআইডি।
সিআইডি-র কাছ থেকে নির্দেশ পাওয়ার পর মুম্বই পুলিস সুজিত মণ্ডলকে গ্রেফতারও করে। রাতেই ২ ডিএসপি-র নেতৃত্বে মুম্বইয়ে পৌঁছে যায় সিআইডির একটি দল। কিন্তু মুম্বই পৌঁছে সিআইডি জানতে পারে, মুম্বই পুলিসের হেফাজত থেকে পালিয়ে গেছেন সুজিত মণ্ডল। মুম্বই পুলিসকে একপ্রকার ধোঁকা দিয়েই পালিয়ে যান ভারতী ঘোষের ‘ছায়াসঙ্গী’।
‘পাখি’ পালিয়ে গেলেও এই ঘটনা থেকে সিআইডি নিশ্চিত যে তোলাবাজির দায়ে অভিযুক্ত পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রাক্তন সুপার ভারতী ঘোষ ও তাঁর দেহরক্ষী মুম্বইতেই আছেন। তাঁদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।
Be the first to comment