ফের গুলি চলল ভাটপাড়ায়। এবার ভাটপাড়া পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের কনভেনার অসীম রায়কে লক্ষ্য করে গুলি চালাল দুষ্কৃতীরা। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান অসীমবাবু। তবে তাঁকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। বুধবার সকালে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভাটপাড়ার কারবালা এলাকায়। বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছেন অসীমবাবু সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অসীম রায় ওরফে বুলুদা ভাটপাড়ার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দাপুটে তৃণমূল নেতা হিসাবে পরিচিত। প্রতিদিন সকালে তিনি রথতলা ফিঙেপাড়ার বাড়ি থেকে বেরিয়ে বড়তলা বাজারে দলীয় কার্যালয়ে যান। এদিনও সকাল ৭টা ৪০ মিনিট নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে পার্টি অফিসে যাওয়ার জন্য কারবালা মোড়ে টোটো ধরতে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময়ই সাইকেলে করে তিন দুষ্কৃতী এসে সরাসরি তাঁর বুকে বন্দুক ধরে প্রাণে মারার চেষ্টা করে। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান অসীমবাবু।
তিনি বলেন, ‘দুজন একটা সাইকেলে এবং একজন একটা সাইকেলে চেপে আমার সামনে এসে দাঁড়ায়। তিনজনের হাতেই তিনটি ওয়ান শাটার বন্দুক ছিল। তারা আমার বুকে বন্দুক ধরে ফায়ার করতে গেলে আমি পাল্টা হাত দিয়ে মারি। গুলি উপর দিয়ে চলে যায়। তখন আমি দৌড়ে পালাতে গিয়ে রাস্তায় পড়ে গেলে ওরা বন্দুকের বাঁট দিয়ে মাথায় মারে। আবার গুলি করতে যায়। কিন্তু গুলিটা নীচে পড়ে যায়। তখন আমি দৌড়ে গলিতে ঢুকে যাই। তারপর একটা সাইকেল ফেলে তিনজনে একটি সাইকেল নিয়েই পালায়।’ প্রাণে বাঁচলেও দুষ্কৃতীদের বন্দুকের বাঁটের মারে অসীমবাবুর মাথা ফেটে গিয়েছে।
সাতসকালে প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতার উপর হামলার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দুষ্কৃতীদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে গোটা ঘটনায় বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তৃণমূল কনভেনার অসীম রায়। তাঁর কথায়, ‘আমি এলাকা থেকে বিজেপিকে পুরোপুরি তাড়িয়েছি। তাই অনেকদিন ধরেই ওরা টার্গেট করেছে আমাকে। সামনে পুরভোট। সেজন্যই আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
বিজেপির তরফে অবশ্য এই বিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। ইতিমধ্যে ভাটপাড়া থানায় গোটা ঘটনা জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন অসীমবাবু। এলাকার CCTV ফুটেজ দেখে অভিযুক্ত খোঁজ শুরু হয়েছে এবং এই ঘটনার পিছনে কে বা কারা রয়েছে, সে ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে ভাটপাড়া থানার পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন।
Be the first to comment