আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন। আজ, শেষ রবিবারের প্রচার। তাই এবার ভবানীপুরে পা রাখলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার। আর এখানে পা রেখেই বিড়ম্বনায় পড়লেন তিনি। তিনি চমক দিতে ভোট চাইলেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের কাছে! তখন তাঁরা হেসে ওঠেন। আবার সাধারণ ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চাইতেই একজন বাসিন্দা সরাসরি বিজেপিকে ভোট দেবেন না বলে জানিয়ে দেন। আর তখনই বিড়ম্বনায় পড়েন মন্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ ভবানীপুরে প্রচারে গিয়ে মন্ত্রী এক ব্যক্তির হাতে প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের লিফলেট দিতে যান। তখনই ওই ব্যক্তি সরাসরি বিজেপির লিফলেট নিতে অস্বীকার করেন। তখন হকচকিয়ে যান সুভাষ সরকার। একইসঙ্গে সুভাষ সরকারকে ওই ব্যক্তি জানান, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পছন্দ করেন। আর তাঁকেই ভোট দেবেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সেখান থেকে চলে যান সুভাষ সরকার।
চমক দিতে গিয়ে নিজেই চমকে গিয়েছেন বলে মনে করছেন এলাকার বাসিন্দারা। ঠিক কী বলেছেন ওই ব্যক্তি? কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তাঁর হাতে লিফলেট দিতে গেলে তিনি হাত সরিয়ে নেন। আর সঙ্গে সঙ্গে বলেন, ‘আমি লিফলেট নেবো না। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভালোবাসি। তাই ওনাকেই ভোট দেবো। বিজেপিকে ভোট দেবো না।’
কে সেই ব্যক্তি? জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম শ্যামল মল্লিক। তাঁর বয়স ৬৫ বছর। ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বলরাম বসু সেকেন্ড লেনের বাসিন্দা। একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। এখন তিনি অবসর জীবন কাটান। সংবাদমাধ্যমে শ্যামলবাবু বলেন, ‘আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একজন একনিষ্ঠ ভক্ত। তাই মমতাকেই ভোট দেব। সে কথাই আমি মন্ত্রীকে জানিয়ে দিয়েছি।’
Be the first to comment