বিধাননগরেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা৷ গত ২৪ ঘন্টায় ৯ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের জীবানু পাওয়া গিয়েছে৷ ফলে উদ্বেগ বাড়ছে পুরসভার৷ বিধাননগর পুরসভা সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন৷ এদের মধ্যে ৮ জনই ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের এক আবাসিক৷ তবে পুরসভার দাবি, টেস্ট বাড়ায় আক্রান্তে সংখ্যা বেড়েছে৷
স্থানীয় কাউন্সিলর নির্মল দত্ত জানান, ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে যে ৮ জনের দেহে করোনা পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে ৪ জনই পুরকর্মী৷ সম্প্রতি সল্টলেকের পুলিশ ব্যারাকে বিক্ষোভ দেখান পুলিশ কর্মীরা৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল৷ ব্যারাকে ভাঙচুরের অভিযোগ৷ এরপরই কড়া ব্যবস্থ্য নিয়েছে প্রশাসন৷
কলকাতা সশস্ত্র পুলিশের চতুর্থ ব্যাটালিয়নের ব্যারাকে কর্মীদের বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের ঘটনায় এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর-সহ পাঁচ জনকে সাসপেন্ড করা হয়। এমনকি ওই বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও শুরু হয়েছে৷
অন্যদিকে ব্যাটালিয়ন থেকে সরানো হল এক অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিককেও। সূত্রের খবর, বদলি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ব্যাটালিয়নের দায়িত্বে থাকা ডেপুটি কমিশনারকে।
কিছুদিন আগে সল্টলেকের এএফ ব্লকে কলকাতা সশস্ত্র পুলিশের চতুর্থ ব্যাটালিয়য়নের দফতরে বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে৷ ঘটনাস্থলে বিধাননগর কমিশনারেট উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা পৌঁছলে তাঁদের লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করা হয় বলে অভিযোগ৷
অভিযোগ,কলকাতা পুলিশের কয়েকজন জওয়ান করোনা আক্রান্ত। চার নম্বর ব্যাটেলিয়ান(আর্মড ফোর্স) কয়েকজন মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত। আক্রান্তদের আত্মীয়দের পাঠানো হচ্ছে না কোয়ারেন্টাইনে। শুধু তাই নয়, চার নম্বর পুলিশ ব্যাটেলিয়ানে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করে সেখানে করোনায় আক্রান্ত পুলিশকর্মীদের রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এমনকি তাঁদের ঠিক মতো চিকিৎসা করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ।
আর এরই প্রতিবাদে উর্ধতনের কাছে গিয়েছিলেন বাকি জওয়ানরা। কিন্তু এই বিষয়ে জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। এরপরেই শুক্রবার সন্ধ্যায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সল্টলেকে কলকাতা পুলিশের ব্যারাক। এর আগে কলকাতা পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার ও গরফা থানায় পুলিশ বিক্ষোভ দেখায়৷
Be the first to comment