শুধুমাত্র এক দিনে বজ্রপাতে মৃত্যু হল ৮৩ জনের। বিহারের সরকার এই সংখ্যা প্রকাশ করেছে। ইতিমধ্যেই মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যনন্ত্রী নীতিশ কুমার।
বৃহস্পতিবারই এই ঘটনা ঘটেছে। খারাপ আবহাওয়ার সতর্কবার্তা ছিল আগে থেকেই। তবে তার চেহারা যে এতটা ভয়ঙ্কর হবে, তা ভাবা যায়নি। একাধিক জেলায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
এদিন সংবাদসংস্থা মৃত্যুর খবর প্রকাশ করলেও সংখ্যঅটা জানা যায়নি। এদিন সন্ধেয় বিহার সরকাররে তরফ থেকে এই সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে বিহারের গোপালগঞ্জে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। মধুবনী ও নাওয়াদায় ৯ জন করে মারা গিয়েছে। ভাগলপুরে ৬ জন ও সিওয়ানে ৬ জন, দ্বারভাঙা, বাংকা, ইস্ট চম্পারণে পাঁচজন করে ও খাগাড়িয়া এবং ঔরঙ্গাবাদে তিন জনের করে মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া ওয়েস্ট চম্পারণ, কৃষ্ণগঞ্জ, জামুই, জাহানবাদ, পূর্ণিয়া, সুপুল, বক্সার, কাইমুর প্রতিটি জেলায় ২ জনের করে মৃত্যু হয়েছে। সমস্তিপুর, শিবহার, সরন, সীতামারী ও মাধেপুরে এক জনের করে মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার মৃতদের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
করোনার প্রকোপের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই এই খবর বেশ উদ্বেগজনক। বিহারেও করোনার প্রকোপ রয়েছে। এদিকে আবার বিহারে সামনেই ভোট।
মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে তাই জোরদার তৎপরতা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। সংক্রমণ এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে বিহারে বিধানসভা ভোট পরিচালনা করা হবে সেব্যাপারে আলোচনা করছেন কমিশনের কর্তারা।
Be the first to comment