কয়লা পাচার কাণ্ডে বিকাশ মিশ্র বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ

Spread the love

কয়লা পাচার কাণ্ডে বিনয় মিশ্রের ভাই বিকাশ মিশ্র বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করলো সিবিআই। প্রসঙ্গত কয়লা পাচার কাণ্ডে মূল কিংপিং হলেন লালা ওরফে অনুপ মাঝি। এই কথা এখন সকলের জানা। আর সেই লালাকে খুঁজতেই হন্নে হয়ে ঘুরছে সিবিয়াই।

অপরদিকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাত থেকে বাঁচতে হাইকোর্টের পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন লালা। সেই মামলার শুনানি আগামী ১০-ই মার্চ হওয়ার কথা বলে জানা গিয়েছে। ওইদিন সবপক্ষের কথা শুনবে আদালত।

ইতিমধ্যেই কয়লা কাণ্ডে বেপাত্তা হওয়া অনুপ মাঝির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। লালা ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে গোয়েন্দা সংস্থা। তার মধ্যেই একজনকে আজ গ্রেফতার করেছে সিবিআই। রাজ্যে কয়লা খনিতে অনিয়ম ও লাগাতার কয়লা চুরির অভিযোগ উঠেছে। যার তদন্তে নেমে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে গোয়েন্দাদের হাতে। যার জেরে নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। একাধিক জায়গায় তল্লাসি অভিযান চালিয়ে মূল কান্ডারি হিসেবে নাম উঠেছে লালার। অনুপ মাঝি বেপাত্তা হওয়ায় আপাতত তাঁর সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা শুরু করেছে ইডি ও সিবিআই।

লালার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের মধ্যে গণেশ বাগাড়িয়া, রণধীর বার্নওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে গোয়েন্দারা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অভিষেক পত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এরই মধ্যে পলাতক ব্যবসায়ী ও তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্র। তাঁর খোঁজেও রয়েছে সিবিআই। তাঁর ভাই বিকাশ মিশ্রের খোঁজ চালাচ্ছে গোয়েন্দারা। আগামী ১০ তারিখ সুপ্রিম কোর্টে কয়লা পাচার কাণ্ডে লালার আর্জির ভিত্তিতে শুনানি চলবে বলে জানা গিয়েছে।

এদিকে সিবিআই-এর তরফে বিকাশের দাদা বিনয় মিশ্রের বিরুদ্ধে ওপেন ওয়ারেন্ট জারি করা হয় আগেই। এই পদক্ষেপ রেডকর্নার নোটিশ জারির আগের পদক্ষেপ। ওপেন ওয়ারেন্ট জারি পরে তা পাঠানো হবে ইন্টারপোলের কাছে। ইন্টারপোলের অনুমতি পাওয়ার পরেই রেককর্নার নোটিশ জারি হবে এবং তা পাঠানো হবে বিভিন্ন দেশে। সেই সময় ভিন দেশে থাকা বিনয় মিশ্রকে সেখানে লুকিয়ে থাকতে বেগ পেতে হবে।

সূত্রের খবর অনুযায়ী গতমাসেই সিবিআই বিনয় মিশ্রকে নিয়ে রেডকর্নার নোটিশ জারি করতে ইন্টারপোলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিবল। কেননা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি বিনয় মিশ্র পরিচয় গোপন করে দুবাইয়ে অবস্থান করছে। সিবিআই-এর কাছে বিনয় মিশ্র শুধু গরু পাচার কাণ্ডেই অভিযুক্ত নয়। সে কয়লা পাচার কাণ্ডেও অভিযুক্ত। ফলে তাঁকে হেফাজতে নিতে পারলে একসঙ্গে অনেক মামলার কাজে এগনো যাবে।

ইডির পাশাপাশি সিবিআই-ও বিনয় মিশ্রের বাড়িতে একাধিকবার তল্লাশি চালায়। কলকাতায় তার তিনটি আস্তায় তল্লাশি চলে। লুকআউট নোটিশ জারি পরে সমন পাঠানো হয়। তারপরেই বিনয় মিশ্রের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে আসানসোল আদালতে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। সিবিআই-এর অভিযোগ, গরু পাচারকাণ্ডে এনামূলের টাকা বিনয় মিশ্রের মাধ্যমে পৌঁছে গিয়েছিলে প্রভাবশালীদের কাছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*