জাল সার্টিফিকেট দেখিয়ে ক্লাস ইলেভেনে ভর্তি হওয়ার অভিযোগ উঠল বিমল গুরুংয়ের মেয়ে অন্নপূর্ণা গুরুংয়ের বিরুদ্ধে। ICSE পাশের জাল শংসাপত্র দাখিল করে কার্সিয়ঙের একটি নামী ইংরাজি মাধ্যম স্কুলে তিনি ভরতি হন বলে অভিযোগ। এব্যাপারে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন দার্জিলিঙের জেলাশাসক জয়সী দাশগুপ্ত। এবিষয়ে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কাছে রিপোর্টও পাঠানো হয়েছে।
সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, অন্নপূর্ণা ২০০৪ সালে দার্জিলিংয়ের মাউন্ট হারমন স্কুল থেকে ICSE পরীক্ষা দেন। কিন্তু, পাশ করতে পারেনি। অথচ, নন্দা গুরুং নামের শংসাপত্র দাখিল করে ওই বছরই কার্শিয়ঙের হিমালি বোর্ডিং স্কুলে ক্লাস ইলেভেনে ভর্তি হন। তবে প্রশাসনিক তদন্তে জানা গেছে, নন্দা গুরুং নামে ওই ছাত্রী ওই বছরই দার্জিলিঙের গ্রিন লনস স্কুল থেকে ICSE পাশ করেন। জেলাশাসক এই রিপোর্টের ভিত্তিতে অভিযুক্তর পাশাপাশি দার্জিলিং এবং কার্শিয়ঙের ওই দুই স্কুলের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন।
জেলাশাসক জানান, এক ব্যক্তি এই বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনকে তথ্য দেওয়ার পরই আমরা তদন্ত শুরু করি। মাউন্ট হারমন স্কুলে পড়তেন অন্নপূর্ণা। সেই স্কুল থেকে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। সেখানে যে তথ্য আমরা পেয়েছি তাতে নন্দা গুরুং নামের যে ছাত্রীর সার্টফিকেট অন্নপূর্ণা ব্যবহার করছেন, তাঁর বাবার নাম প্রকাশ চন্দ্র গুরুং। ওই সার্টিফিকেট হাতিয়ে রাতারাতি নাম পালটে নেন অন্নপূর্ণা। তাঁর পরিচয় হিসেবে নন্দা গুরুং নামটিই ব্যবহার করে পরবর্তীকালে একাধিক ডিগ্রি নেন। এখন তিনি লন্ডনে পড়াশোনা করছেন। আমরা CID-কেও যাবতীয় তথ্য দিয়েছি। পাশাপাশি ICSE বোর্ডকে ঘটনার তদন্ত করতে বলেছি।
Be the first to comment