আরজি কর ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় বসে কার্যত অবরোধ শুরু করেন বিমান বসু সহ বামেদের শীর্ষ নেতৃত্বরা

Spread the love

 

চিরন্তন ব্যানার্জি :-

আরজি কর ঘটনার প্রতিবাদে এবার রাস্তায় বসে কার্যত অবরোধ শুরু করে দেন বামেদের প্রবীণ নেতা তথা ফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু সহ বামেদের শীর্ষ নেতৃত্বরা।

আরজি কর-কাণ্ডে ন্যায়-বিচার ও অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে এবং স্বাস্থ্য-দুর্নীতির প্রতিবাদে বামেদের ‘মহামিছিল’ ঘিরে স্তব্ধ হয়ে গেল শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ের যান চলাচল। বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী, মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়-সহ বাম নেতারা মঙ্গলবার বিকেলে নেতাজি মূর্তির সামনে রাস্তায় বসে কার্যত অবরোধ শুরু করে দেন শ্যামবাজারে। ‘ব্যর্থ প্রাণের আবর্জনা পুড়িয়ে ফেলে আগুন জ্বালো’— এই আহ্বানকে সামনে রেখে এই মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। রাজাবাজার ট্রাম ডিপো থেকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন বামফ্রন্টের রাজ্য নেতারা। কিন্তু পুলিশি বিধিনিষেধের কারণে আরজি কর পর্যন্ত মিছিল যেতে পারেনি। শ্যামবাজারে দলের নেতা কর্মীরা রাস্তায় বসে পড়েন। শুরু হয় বক্তৃতা। আরজি করের ঘটনার তদন্ত এখন করছে সিবিআই। সেই তদন্তের দিকেও ‘নজর’ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাম নেতৃত্ব। পরবর্তী ‘আরজি করের মাথা ধরো’র দাবিকে সামনে রেখে সিজিও কমপ্লেক্স বা নিজ়াম প্যালেসের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের পরিকল্পনাও রয়েছে বামেদের। শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সংযোগে বামেদের অবরোধের জেরে সোমবার সন্ধ্যায় প্রবল যানজটের সৃষ্টি হয়েছে উত্তর কলকাতার বিভিন্ন এলাকায়।
অন্যদিকে, ম্যাটাডোরের উপরে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। ঠিক তখনই ঘটে এক বিপত্তি। সেই সময় নেতাজি মূর্তির নীচে দাঁড়িয়ে সাদা কালো ডোরাকাটা টিশার্ট পরা এক মহিলা চিৎকার করে বলেন, ‘আপনারা রাজনীতির কথা কেন বলছেন? ধর্ষণের বিচারের কথা বলুন! একে অন্যকে দোষারোপ করছেন!’ সেই মুহুর্তে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হলেও, পরবর্তীকালে কমরেডরা পরিস্থিতি সামাল দেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*