জাতীয় ভোটার দিবসের অনুষ্ঠান ঘিরে মঙ্গলবার সরগরম বিধানসভা ভবন। রাজ্য রাজনীতির আলোচনায় শীর্ষে উঠে এসেছে রাজ্যপাল-অধ্যক্ষ তরজা। কারও কারও কাছে মঙ্গলবার বিধানসভায় যা ঘটেছে তা বেনজির ঘটনা। তবে রাজনীতির আকচাআকচির মধ্যেও সৌজন্যের ছবি দেখা গেল এদিন বিধানসভা ভবনে। সূত্রের খবর, এদিন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে জানতে চান শিশির অধিকারীর শরীর কেমন আছে।
বিভিন্ন সময়েই বিরোধী দলনেতা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। অধ্যক্ষও নিজের মতো করে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পাল্টা মন্তব্য করেছেন। কিন্তু মঙ্গলবার নজিরবিহীন ঘটনা দেখা গেল। এদিন বিধানসভায় মাইকেল মধুসূদন দত্ত ও অশ্বিনী কুমার দত্তের জন্মদিবসের অনুষ্ঠান ছিল। বিধানসভায় নিজের ঘরে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সে সময় বিধানসভার এক আধিকারিককে দিয়ে তাঁকে অধ্যক্ষ ডেকে পাঠান বলে সূত্রের দাবি। শুভেন্দু অধিকারীও অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে যান। সেই সময়ই বিমানবাবু শুভেন্দুর কাছে সাংসদ শিশির অধিকারীর শারীরিক অবস্থার কথা জানতে চান বলে সূত্রের খবর।
শুভেন্দু অধিকারী এ নিয়েও বাইরেও বলেন, তিনি জানেন কোথায় কীভাবে সৌজন্য দেখাতে হয়। অর্থাৎ রাজনীতিতে সৌজন্য থাকবেই। তবে এর সঙ্গে বিধানসভার ক্ষেত্রে অধ্যক্ষের যে ভূমিকার বিরুদ্ধে বিরোধী দলনেতা সরব হয়েছেন, সেখানে তিনি কখনওই নরম হবেন না। প্রায় এক বছরে একাধিকবার বিরোধী দলনেতার সঙ্গে বিধানসভার অধ্যক্ষের মতানৈক্য সামনে এসেছে। বিভিন্ন সময় একে অপরের বক্তব্যের বিরোধিতায় সরবও হয়েছেন। কিন্তু তার মানে রাজনীতির জালে সৌজন্য একেবারেই হারিয়ে গিয়েছে তা ভেবে নিলে ভুল হবে বলেই বিশ্বাস করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
অন্যদিকে সূত্রের দাবি, বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার সঙ্গে রাজ্যপাল আলাদা করে কথা বলেন। সূত্রের খবর, গাড়ি থেকে নেমেই তিনি শুভেন্দুর কাছে জানতে চান নতুন করে তাঁর উপরে আক্রমণ হয়েছে কি না? সেই সময়ে শুভেন্দুর পাশেই ছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও কারণ, রাজ্যপালকে স্বাগত জানানোর দায়িত্ব ছিল তাঁরই।
Be the first to comment