বিজেপিতে যোগ দেওয়ার এক বছরের মধ্যেই কি ‘ঘর ওয়াপসি’ করলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রভাবশালী নেতা বিপ্লব মিত্র। আজ, শুক্রবার দুপুরে তৃণমূল ভবনে তাঁর হাতে ফের একবার দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবারই বিপ্লব মিত্রকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করার কথা ছিল তৃণমূল মহাসচিবের। তবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের প্রয়াণে সেই কর্মসূচি বাতিল করা হয়। বর্ষীয়ান নেতার তৃণমূলে ফেরার খবরে উচ্ছ্বসিত তাঁর অনুগামীরা।
প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনের পরই তৃণমূল ছেড়ে মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বিপ্লব মিত্র। তাঁর সঙ্গেই বিজেপিতে গিয়েছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি, একঝাঁক জেলা পরিষদ সদস্য, কাউন্সিলর এবং পঞ্চায়েত সদস্য। এরপর দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি হন সাংসদ অর্পিতা ঘোষ।
সূত্রের খবর, বিজেপিতে ঠিক মানিয়ে নিতে পারছিলেন না প্রাক্তন বিধায়ক। ‘কাঙ্খিত গুরুত্ব’ না পেয়েই পুরনো দলে ফিরতে চেয়ে বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। মনে করা হচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর বিজেপি ছাড়ার কারণ জানাতে পারেন বর্ষীয়ান নেতা।
তৃণমূল সূত্রের খবর, বিপ্লব মিত্রের ঘর ওয়াপসি আগেই চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। গত সপ্তাহেই অর্পিতা ঘোষকে সরিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা সভাপতি করা হয় গৌতম দাসকে। এর জেরে বিপ্লব মিত্রের ফেরার রাস্তা আরও মসৃণ হয়। তৃণমূল ভবনে বিপ্লব মিত্রের প্রত্যবর্তনের সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতিও।
প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সুকান্ত মজুমদারের কাছে পরাজিত হন তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট প্রার্থী, নাট্যব্যক্তিত্ব অর্পিতা ঘোষ। যার জেরে অভিযোগ ওঠে, বিপ্লব মিত্র ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। জেলা সভাপতির পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই বিজেপিতে যোগদান করেন বিপ্লব মিত্র।
২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর বিধানসভা থেকে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন বিপ্লব মিত্র। তবে ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হন।
দেখুন ভিডিও!
Be the first to comment