মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদে রেলিং ভেঙে নদীতে পড়ে যায় যাত্রিবাহী বাস। নদী থেকে একে একে উদ্ধার হয় চল্লিশের বেশি মানুষের নিথর দেহ। তদন্তে চালকের অসাবধানতার তথ্যই উঠে আসে।
ব্রিজের রেলিং ভেঙে গাড়ি নদীতে বা নীচে পড়ে যাওয়া আটকাতে উদ্যোগী বীরভূম জেলা প্রশাসন। জেলার প্রতিটি জাতীয় ও রাজ্য সড়কের উপর ব্রিজগুলির নিরাপত্তা দিতে তৈরি হয়েছে ব্রিজ গার্ড। ব্রিজের একটি অংশ কেটে তার মধ্যে লোহা ও সিমেন্টের কংক্রিট ঢালাই দিয়ে তৈরি হয়েছে ব্রিজ গার্ড। পরীক্ষামূলকভাবে দেখা গিয়েছে, দুর্ঘটনার জেরে কোনও গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারালেও নীচে পড়ে যাবে না। ব্রিজের মধ্যেই থাকবে দুর্ঘটনাগ্রস্ত যানটি।
কখনও অতিরিক্ত গতি। কখনও আবার চালকের অসতর্কতা। ব্রিজের রেলিং ভেঙে নীচে গাড়ি বা বাস পড়ে গিয়ে ঘটেছে একাধিক দুর্ঘটনা। এধরনের দুর্ঘটনা আটকাতে বীরভূমে জাতীয় ও রাজ্যসড়কের উপর ব্রিজগুলিতে তৈরি হয়েছে ব্রিজ গার্ড। ব্রিজ গার্ডে ধাক্কা মারলেও ব্রিজের মধ্যেই থাকবে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি। ব্রিজ টপকে নীচে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কেটেছে।
সিউড়ি থেকে বোলপুর যাওয়ার রাস্তায় কোপাই ও শাল নদীর উপর বল্লভপুর ব্রিজ ও বক্রেশ্বর নদীর উপর হাইটিকরা ব্রিজে ইতিমধ্যেই ব্রিজ গার্ড তৈরি হয়ে গিয়েছে। সাঁইথিয়া-বহরমপুর রাস্তায় ময়ূরাক্ষী নদীর উপরেও ব্রিজে ব্রিজ গার্ড তৈরির কাজ চলছে। এছাড়াও, – ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে বক্রেশ্বর ব্রিজের উপরেও ব্রিজ গার্ড – তিলপাড়া ও ব্রাহ্মণী ব্রিজ ছাড়াও বিভিন্ন সেতুতে ব্রিজ গার্ডের কাজ পথ দুর্ঘটনা রুখতে সবসময়ই তৎপর রাজ্য সরকার। বীরভূম জেলাজুড়ে এধরনের উদ্যোগে স্বস্তিতে সাধারণ মানুষ।
Be the first to comment