বোমাবাজি থেকে রক্তারক্তি সব হলো বীরভূমের সদাইপুর থানার তৌরুগরীহাট গ্রামে, কী কারনে পড়ুন!

Spread the love
তুই আসল না মুই আসল! এ বলে আমি আসল। ও বলে আমি। দুজনের দাবি দুজনেই আদি তৃণমূল। আর এই নিয়েই বোমাবাজি থেকে রক্তারক্তি সব হলো বীরভূমের সদাইপুর থানার তৌরুগরীহাট গ্রামে।
এক দিকে দুবরাজপুরের নেতা ভোলানাথ মিত্রের অনুগামী। বিপরীতে সিউড়ির নেতা স্বর্ণময় সিংহের অনুগামী। রবিবার সকালে শাসক দলের এই দুই গোষ্ঠীর রেষারেষিতে গ্রামের আকাশ ঢেকে গেল ধোঁয়ায়।
রবিবাসরীয় সকালে ভোলানাথ মিত্রের অনুগামীরা বেরিয়েছিলেন গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযানে? কী জন্য এই গণস্বাক্ষর? গ্রামে পানীয় জলের দাবি? জমিতে চাষের সুবিধের জন্য ডিপ টিউবওয়েলের দাবি? নাকি একশো দিনের কাজের দাবি? নাহ! এর কোনওটাই নয়। গণস্বাক্ষরের বিষয় হলো কে আদি তৃণমূল।
ভোলানাথ গোষ্ঠীর লোকেরা সক্কাল সক্কাল বেরিয়ে পড়েছিলেন তাঁদের সমর্থনে সই জোগাড় করতে। অভিযোগ তখনই তাঁদের উপর হামলা চালায় স্বর্ণময় শিবিরের লোকেরা। শুরু করে বোমাবাজি। ভোলানাথ অনুগামী শেখ গরিবের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে স্বর্ণময় শিবিরের সেনানী শেখ ইমলাক। তাঁর দাবি তাঁরাই আসল তৃণমূল। শেখ গরিব আসলে বিজেপি-র লোক। নিজেরাই গ্রামবাসীদের ভয় দেখিয়ে সই করাবে বলে বোমাবাজি করেছে গ্রামে।
গত শুক্রবার বীরভূম জেলাপরিষদের বোর্ড গঠনের সভায় তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেছিলেন, “পুজোর পরেই আচট জমি পাচন করব। তৈরি হোন।” বিরোধীদের উদ্দেশে এ কথা বললেও, রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে উনিশের ভোটের আগে নিজেদের গোষ্ঠী কোন্দল ঠেকাতে আগে পাচন করা দরকার।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*