আইনি জটিলতায় বিজেপির রথযাত্রা স্থগিত থাকলেও ঘোষিত সূচি মেনে জেলার ব্লকে ব্লকে বের হল তৃণমূলের কীর্তনীয়া দল। শুক্রবার বীরভূম জেলার ১৯ টি ব্লকে খোল খঞ্জনী হাতে র্যালি করল তৃণমূল কংগ্রেস।
বিজেপি রথের সামনে খোল খঞ্জনী হাতে হাঁটার কথা ঘোষণা করেছিলেন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেছিলেন, “এই রথ যাত্রা বিজেপির শেষ যাত্রা তাই ওদের সামনে খোল কীর্তন নিয়ে হাঁটবে তৃণমূল কংগ্রেস।” কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে আপাতত বন্ধ বিজেপির রথযাত্রা, তাই রথের সামনে না হাঁটা হলেও খোল খঞ্জনী হাতে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে র্যালি করল তৃণমূল।
পঞ্চায়েত ভোটের পর অনুব্রতবাবু ঘোষণা করেছিলেন জেলার প্রতিটি ব্লকের কীর্তনীয়া দলের হাতে তুলে দেবেন খোল আর খঞ্জনী। সেইমতো চলতি মাসে ৫ তারিখ বোলপুরের ডাকবাংলো মাঠে ৪ হাজার খোল এবং ৮ হাজার খঞ্জনী বিলি করা হয়। জেলাজুড়ে এইভাবে খোল খঞ্জনী বিলি রাজ্যে এই প্রথম। একইরকমভাবে খোল খঞ্জনী হাতে রাজনৈতিক দলের এমন মিছিলও আগে দেখেননি কেউ। তৃণমূলের খোল খঞ্জনী বিলি নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধীরা। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল এই কর্মসূচিতে কোটি টাকারও বেশি খরচ হয়েছে।
বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেছিলেন ,”খোল খঞ্জনী বিলি তে প্রায় দু’কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এর উৎস কোথায়? এগুলি সব তৃণমূলের বালি- কয়লা ও সিন্ডিকেটের টাকা থেকে আসছে।”
এ দিনই তারাপীঠ থেকে বিজেপির ‘গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা’ সূচনা হওয়ার কথা ছিল। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ সহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার উপস্থিতিতে রথযাত্রার সূচনা করার কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য বিজেপি। কিন্তু আইনের ফাঁসে আপাতত তাদের সেই কর্মসূচি স্থগিত। খোল করতাল বিলির কথা অনুব্রতবাবু আগে ঘোষণা করলেও বিজেপির রথযাত্রার ঘোষণার পরেই তিনি বলেন, ‘‘খোল করতাল হাতে তৃণমূলের কর্মীরা বিজেপি-র রথের সামনে হাঁটবে।’’ রথ না বের হলেও খোল খঞ্জনী নিয়ে মিছিল কিন্তু হলো।
এ প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, “খোল করতাল নিয়ে তৃণমূল রাস্তায় নেমেছে এটা খুব ভালো খবর। আমার মনে হয় বিজেপির চাপে তৃণমূল হিন্দুত্বের পথে হাঁটতে বাধ্য হয়েছে।” তৃণমূলের বীরভূম জেলা সহসভাপতি রানা সিংহের মন্তব্য,”আমাদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুসারেই জেলার ১৯টি ব্লকে খোল করতালের মিছিল হলো।”
Be the first to comment