মুকুল রায়ের বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বেসুরো শোনাল বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে। মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার একদিনের মধ্যেই বেসুরো বাগদার বিধায়ক। আগে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন বিশ্বজিৎ। সেখানে বড় ভূমিকা ছিল মুকুলেরই। এরপর বনগাঁ উত্তরের টিকিট না পেয়ে একুশের বিধানসভা ভোটের সময় তাঁর অবস্থান নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।
তবে শেষ পর্যন্ত বাগদা কেন্দ্রে বিজেপির টিকিট পান তিনি। জয়ীও হন। এহেন বিশ্বজিৎ শুক্রবার দিলীপ ঘোষের বনগাঁর কর্মসূচিতে অনুপস্থিত ছিলেন। আর এ নিয়ে তাঁর তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, কী করবেন তা সময় ঠিক করবে। কর্মসূচিতে অনুপস্থিতির কারণ হিসাবে তিনি বলেছেন কলকাতায় ছিলেন ডাক্তার দেখানোর জন্য। তবে বিশ্বজিতের কথাবার্তার মধ্যে দলবদলের ইঙ্গিত পাচ্ছেন ওয়াকিবহাল মহল।
এছাড়াও মুকুল রায়ের ফুল বদলের সঙ্গে সঙ্গেই বনগাঁ জেলার বিজেপি সহ সভাপতি পদত্যাগ করেছেন। বেসুরো শুনিয়েছে অর্জুন ঘনিষ্ঠ সুলীল সিংকে। তাঁর দাবি, মুকুলের বিজেপি ত্যাগে অবশ্যই দলের বড় ক্ষতি হল।
উল্লেখ্য, একুশের ভোটের দোরগোড়ায় বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে গিয়ে দেখা করেছিলেন সুনীল সিংহ। দলবদলের মরসুমে সেসময় সুনীলের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। যদিও তখন বিজেপিতেই থেকে গিয়েছিলেন সুনীল। সেদিন মুখ্যমন্ত্রীর পা ছুঁয়ে প্রণাম করতে দেখা গিয়েছিল বিশ্বজিৎ দাসকেও। তাঁর সঙ্গেই ছিলেন সুনীল। দু’জনেই একসময়ে তৃণমূলের বিধায়ক ছিলেন। পরে বিজেপিতে যান। বিশ্বজিৎ দাসকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “কীরে কী ভাবলি, আর তো সময় নেই।” পুরো ঘটনাচক্রে রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে ওঠে।
Be the first to comment