২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এলে ১ কোটি চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করবেন। এবার রাজস্থানে বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির ইস্তেহারে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হল, আগামী ৫০ বছরে পাঁচ লক্ষ চাকরি সৃষ্টি হবে। মঙ্গলবার জয়পুরে বিজেপির ইস্তেহার প্রকাশিত হয়। এক অনুষ্ঠানে তা প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলি। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া এবং অন্যান্য বিজেপি নেতা।
আগামী ৭ ডিসেম্বর রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচন হবে। বসুন্ধরা রাজে এদিন ইস্তেহার প্রকাশের পরে বলেন, আমার সরকার গত পাঁচ বছরে উন্নয়ন এবং নানা জনকল্যাণমূলক কাজে গুরুত্ব দিয়েছে। ভোটে জিতে ক্ষমতায় এলে আগামী দিনেও তাই দেবে। অরুণ জেটলি বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্যের উন্নয়নের মডেল পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। কারণ, দু’টি সরকারই একই দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা পরিচালিত।
বসুন্ধরা বলেন, ২০১৩ সালে ভোটের আগে আমরা ৬৬৫ টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। তার মধ্যে ৬৩০ টি প্রতিশ্রুতি পালন করেছি। তার অর্থ, আমরা ৯৫ শতাংশ প্রতিশ্রুতি পালন করেছি।
ইস্তেহারে বলা হয়েছে, আগামী পাঁচ বছরে বেসরকারি ক্ষেত্রে ৫০ লক্ষ চাকরি সৃষ্টি হবে। সরকারি ক্ষেত্রে সৃষ্টি হবে ৩০ হাজার চাকরি। একইসঙ্গে বেকার ভাতা দেওয়ারও কথা বলা হয়েছে। ইশতেহারে আছে, ২১ বছরের উর্ধ্বে শিক্ষিত তরুণ-তরুণীরা কয়েকটি শর্তাধীনে মাসে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত বেকার ভাতা পাবেন।
বসুন্ধরা বলেন, আগে শিক্ষাক্ষেত্রে রাজস্থান ছিল দেশে ২৭ নম্বরে। এখন দু’নম্বরে উঠে এসেছে। এক্ষেত্রে আমরা বিরাট সাফল্য অর্জন করেছি। রাজ্যে অনেকগুলি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছে। এখন আর রাজস্থানের ছেলেমেয়েদের উচ্চশিক্ষার জন্য অন্য রাজ্যে যেতে হয় না। মেয়েরা যাতে স্কুলছুট না হয়, সেজন্য সরকার তাদের খাবার দিচ্ছে, স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছে, ল্যাপটপ দিচ্ছে। স্কুলের শিক্ষা শেষ করলে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হচ্ছে ৫০ হাজার টাকা।
অরুণ জেটলি বলেন, জিএসটি থেকে উপকৃত হয়েছে রাজ্য। রাজ্যে যে পরিমাণ জিএসটি সংগৃহীত হচ্ছে তার ৫০ শতাংশ যাচ্ছে রাজ্যের কোষাগারে। কেন্দ্রের জিএসটি থেকেও রাজ্য পাচ্ছে ২১ শতাংশ। এছাড়া নানা কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্য টাকা পাচ্ছে।
পর্যবেক্ষকদের ধারণা, বিজেপির ইস্তেহারে নানা প্রতিশ্রুতি থাকলেও মূলত চাকরির প্রতিশ্রুতি নিয়েই আগামী দিনে শাসক দলকে চেপে ধরতে চাইবে বিরোধীরা।
Be the first to comment