লক্ষ্য একটাই। পূর্বভারতের রাজ্যগুলিতে যতটা বেশি সম্ভব আসন জেতা। তাই গোটা দেশের বিজেপি নেতৃত্ব ছুটে আসছে বাংলায়। রথযাত্রার সূচি আগেই জানিয়েছিল বঙ্গ বিজেপি। এ বার লোকসভা ভিত্তিক সমাবেশের স্থান এবং বক্তা তালিকা ঠিক করে ফেলল গেরুয়া শিবির।
রথযাত্রার সময়ে বিজেপি যে বাঘাবাঘা নেতাদের এনে বাংলায় প্রচার করাবে, দ্য ওয়াল সে খবর আগেই জানিয়েছিল। শনিবার বাংলার বিজেপি ঠিক করে ফেলল, কবে কোথায় সভা হবে এবং সেই সভায় সভায় কারা কারা বক্তব্য রাখবেন।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে শিলিগুড়ি এবং শ্রীরামপুরের সভায় বিজেপি-র বক্তা তালিকায় নাম রয়েছে গায়ক কুমার শানুর। একটা সময় কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা থাকলেও ২০১৪-র ডিসেম্বরে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি-তে। কিন্তু তারপরে খুব একটা গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে দহরম মহরম করতে দেখা যায়নি শানুকে। তাই উনিশের ভোটের আগে তাঁকে দিয়ে দু’দুটি সভা করানোয় অন্য ইঙ্গিত পাচ্ছেন অনেকেই। পর্যবেক্ষকদের মতে, ২০১৪ সালে দু’জন বলিউড গায়ককে বাংলায় প্রার্থী করেছিল গেরুয়া শিবির। আসানসোলে বাবুল সুপ্রিয় এবং শ্রীরামপুরে বাপ্পি লাহিড়ী। বক্তা তালিকায় শানুর নাম দেখে অনেকেই বলছেন, তাহলে কি উনিশের ভোটে বাংলা থেকে লড়বেন শানু?
তিনটি রথযাত্রারই উদ্বোধন করবেন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। রথের পথেই ৪২ টি লোকসভা ভিত্তিক জনসভা করবে বিজেপি। আর সেই বক্তা তালিকায় কে নেই! রাজনাথ সিং, অরুণ জেটলি, পীযূষ গোয়েল, নির্মলা সীতারমণ, সুরেশ প্রভু, স্মৃতি জুবিন ইরানি, নীতিন গডকড়ি, উমা ভারতীর মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে যোগী আদিত্যনাথ, বিপ্লব দেব, রঘুবর দাস, দেবেন্দ্র ফড়নবিশের মতো বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও আসছেন বাংলায়। পাঁচটি করে সভা করবেন যোগী আদিত্যানাথ এবং বিপ্লব দেব।
প্রথমে রথযাত্রার যে সূচি তৈরি হয়েছিল তাতে কিছুটা পরিবর্তন করে বিজেপি। সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ রাজস্থানের ভোট প্রচারে ব্যস্ত থাকায় আসতে পারবেন না বলে কেন্দ্রীয় বিজেপি-র তরফে জানানো হয় দিলীপ ঘোষদের। কিন্তু বঙ্গ বিজেপি চেয়েছিল তিনটি রথের রশিতেই শুরুর টানটা দিক রাষ্ট্রীয় অধ্যক্ষ। তাই তারাপীঠের রথযাত্রা পিছিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ১৪ ডিসেম্বর। ৭ এবং ৯ ডিসেম্বরের কোচবিহার এবং গঙ্গাসাগর থেকে যে রথযাত্রা শুরু হওয়ার কথা ছিল, তা নির্দিষ্ট দিনেই হবে।
ব্রিগেডে হবে রথযাত্রার সমাপ্তি সমাবেশ। গেরুয়া ব্রিগেডের ব্রিগেড সমাবেশে তো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থাকছেনই, সেই সঙ্গে মাঝেও চার-পাঁচটি সভা করার কথা তাঁর। সম্ভাব্য হিসেবে বঙ্গ বিজেপি কৃষ্ণনগর, শ্রীরামপুর, দুর্গাপুরের মতো কয়েকটি জায়গার কথাও ভেবে রেখেছে। কিন্তু মোদীর সূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলেই জানিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।
Be the first to comment