ওসির চোখে আঙুলের খোঁচা, পুলিশের দিকে ডাব-পাথর; বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হলো মামলা

Spread the love

বিজেপির বিক্ষোভে লাঠিচার্জ হয়নি বলে সাফ জানিয়ে দিলো লালবাজার। তবে ব্যবহার হয়েছে জলকামান। ফাটানো হয়েছে দুটি কাঁদানে গ্যাসের শেল। পুলিশের রেকর্ড বলছে, ৩ জন বিজেপি কর্মী জখম হয়েছেন। অন্যদিকে, বিজেপি কর্মীরা বড়বাজার থানার OC-এর চোখে আঙুল ঢুকিয়ে দিয়েছেন বলে দাবি পুলিশের। অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা ডাব-পাথর নিয়ে হামলা চালিয়েছেন পুলিশের দিকে। ঘটনায় মোট ৯ পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন।

লালবাজারের দাবি, বুধবার বিজেপির কর্মসূচির কোনও অনুমতি ছিল না। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জাভেদ শামিম জানিয়েছেন, কর্মসূচির কথা জেনে সকাল থেকে বারে বারে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হয়। জানার চেষ্টা চলে কর্মসূচি ঠিক কী। কিন্তু যুব মোর্চার তরফে এ বিষয়ে পুলিশকে কিছুই জানানো হয়নি। সূত্র মারফত লালবাজার জানতে পারে, কর্মসূচি বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধির প্রতিবাদে ভিক্টোরিয়া হাউজে দেওয়া হবে ডেপুটেশন।

পুলিশের দাবি, ডেপুটেশন তো আর যত আন্দোলনকারী জমায়েত হয়েছিল তাঁরা সবাই দেবেন না। মিছিল চলাকালীন জানতে চাওয়া হয়, কতজনের প্রতিনিধিদল ডেপুটেশন দিতে যাবে। তখনও বিজেপির নেতৃত্বে থাকা লকেট চ্যাটার্জি, সায়ন্তন বসু কিংবা জয় ব্যানার্জি জানাতে চাননি কারা যাবেন। সাধারণভাবে এই ধরনের কর্মসূচিতে নির্দিষ্ট একটি জায়গায় মিটিং করেন আন্দোলনকারীরা। সেখান থেকে প্রতিনিধিদল যায় ডেপুটেশন দিতে। পুলিশের দাবি, বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও সেই মিটিং কোথায় হবে তা জানানো হয়নি। পুলিশের তরফে প্রথমে অনুরোধ করা হয় যোগাযোগ ভবনের সামনে সেই মিটিং করতে। তার পরেও এগিয়ে চলে আন্দোলনকারীরা। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে বুঝতে পেরে পুলিশ চাঁদনি চকের সামনে আটকায় মিছিল। বলা হয়, সেখানেই মিটিং করতে। কিন্তু হঠাৎই মারমুখী হয়ে ওঠেন আন্দোলনকারীরা।

ঘটনার জেরে ৯ মহিলাসহ ৮৭ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার মধ্যে ছিলেন সায়ন্তন, জয়ও। যদিও অন্য কর্মসূচি থাকায় পুলিশকে অনুরোধ করে জয় এবং সায়ন্তন আগেই লালবাজার থেকে ছাড়া পেয়ে যান। ছেড়ে দেওয়া হয় ৯ মহিলা বিজেপি কর্মীকেও। বাকিদের মুক্তি দেওয়া হয় রাত আটটা নাগাদ। তবে পুলিশকে আক্রমণের ঘটনায় নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করছে পুলিশ। CCTV ও অন্য ফুটেজ খতিয়ে দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে লালবাজার।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*