নন্দীগ্রামের পুনরাবৃত্তি হল ভবানীপুরে। নির্বাচনী হলফনামায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, পাঁচটি মামলার বিষয়ে হলফনামায় কোনও তথ্য দেননি মমতা। মঙ্গলবার মমতার বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছেন ভবানীপুরের প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের মুখ্য নির্বাচনী এজেন্ট সজল ঘোষ।
তাঁর দাবি, পাঁচটি মামলার বিষয়ে হলফনামায় কোনও তথ্য দেননি মমতা। যা অসমে রুজু হয়েছিল। অসমের গীতানগর থানায় ২৮৬/২০১৮ নম্বর মামলা, পানবাজার থানায় ৪৬৬/২০১৮ নম্বর মামলা, জাগিরোড থানায় ২৮৮/২০১৮ নম্বর মামলা, লখিমপুর সদর থানায় ৮৩২/২০১৮ নম্বর মামলা এবং উধারবন্ধ থানায় ১৭৭/২০১৮ নম্বর মামলা। তবে বিষয়টি নিয়ে আপাতত তৃণমূল বা নির্বাচনের কমিশনের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
গত মার্চে নন্দীগ্রামে ভোটের আগেও একই দাবি করেছিল বিজেপি। নন্দীগ্রামের তৎকালীন বিজেপি প্রার্থী তথা বর্তমান বিধায়ক শুভেন্দু দাবি করেছিলেন, ২০১৮ সালে মমতার বিরুদ্ধে অসমে পাঁচটি ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছিল। সিবিআইয়ের কাছেও তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছিল একটি ফৌজদারি মামলা। কিন্তু হলদিয়ার মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে গিয়ে মমতা যে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন, তাতে সেই মামলাগুলির বিষয়ে কোনও উল্লেখ নেই। সেজন্য কমিশনে নালিশ করা হয়েছিল।
শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘নন্দীগ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে ছ’টি মামলা আছে। ২০১৮ সালে পাঁচটি মামলা অসমে এবং একটি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (সিবিআই) কাছে। মোট ছটি কেসের উল্লেখ করেননি। নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছি। তারা কী সিদ্ধান্ত নেয়, তারপর দেখা যাবে।’
যদিও সেই অভিযোগ ধোপে টেকেনি। বরং নন্দীগ্রামে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন মমতা। সেইসময় শুভেন্দুর অভিযোগকে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিয়েছিল ঘাসফুল শিবির। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ জানিয়েছিলেন, নন্দীগ্রামে জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার আশঙ্কায় এইসব অভিযোগ করছেন। তাতে কোনও লাভ হবে না। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, যে কোনও জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হতে পারে। কিন্তু কোন নোটিস না পাঠালে সেই সংক্রান্ত তথ্য হলফনামায় জমা দেওয়া সম্ভব নয়।
Be the first to comment