বিজেপির ৭ বিধায়ককে সাসপেন্ড মামলায় বিধানসভার স্পিকারের হলফনামা তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী সোমবারের মধ্যে হলফনামা পেশ করতে হবে। সোমবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ। মামলার পরবর্তী শুনানি ৫ মে।
বিধানসভায় গন্ডগোলের অভিযোগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ ৭ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। পালটা সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে মামলা হয় আদালতে। একযোগে মামলা করেন শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ টিগ্গা, মিহির গোস্বামী, সুদীপ মুখোপাধ্যায়, দীপক বর্মন, শংকর ঘোষ এবং নরহরি মাহাতোরা। এদিন আদালতে বিজেপি বিধায়কদের আইনজীবীর প্রশ্ন, এই সাতজনকেই আগামী ৫ বছরের জন্যই সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাহলে এঁরা নিজেদের বিধানসভার কথা বলবেন কী করে? বিরোধী দলনেতাকে কি এভাবে বাইরে রাখা যায়? এর পরই অধ্যক্ষের হলফনামা তলব করেন বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, চলতি বাজেট অধিবেশনের শেষদিন তৃণমূল ও বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে হাতাহাতির জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। নাক ফেটে যায় তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জামা ছিঁড়ে বুকে আঘাত লাগে পরিষদীয় দলনেতা মনোজ টিগ্গার। এক বিধায়কের চশমা ভেঙে যায়। অল্পবিস্তর আহত হন বিজেপির দুই মহিলা বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি, শিখা চট্টোপাধ্যায়। এরপর স্পিকার ৫ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন।
যতদিন বিধানসভার এই অধিবেশন চলছে অর্থাৎ বিধানসভার এই অধিবেশন যতদিন ‘প্রোরোগ’ বা স্থগিত করা না হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত সাসপেন্ডেড থাকবেন তাঁরা। কোনও অধিবেশনে অংশ নিতে পারবেন না। স্পিকারের এই শাস্তি ঘোষণার সাংবিধানিক ব্যাখ্যা, চলতি অর্থবর্ষে কোনও অধিবেশনেই থাকতে পারবেন না শুভেন্দু ও এই চার বিজেপি বিধায়ক। ওইদিন সন্ধেবেলাই বিজেপির সাসপেন্ডেড বিধায়করা রাজভবনে গিয়েছিলেন।
Be the first to comment