প্রথম চার দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়ে গিয়েছে ধাপে। ধাপে ঘোষিত হয়েছে আরো কয়েকটি নাম। আজ বৃহস্পতিবার, বিকেল সাড়ে চারটের সময়ে বিজেপির দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের সদর অফিস থেকে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং আরও চার দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবেন। ১৬৭টি নাম ঘোষণা হতে পারে এদিন, আবার আলোচনা সম্পূর্ণ না হওয়ায় বাদও যেতে পারে কয়েকটি নাম।
বিজেপির এই দফার প্রার্থী তালিকায় থাকতে পারে একাধিক চমক। এক কথায় বললে, নীল বাড়ি দখলের লড়াইয়ে মরিয়া বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব অলআউট খেলতে চাইছে শেষ সময়ে। ইতিমধ্যেই তারা আসরে নামিয়েছে স্বপন দাশগুপ্ত, লকেট চট্টোপাধ্যায়, বাবুল সুপ্রিয়দের মতো সাংসদদের। এবারেও তালিকায় আসতে পারেন আরও কয়েকজন সাংসদ।
বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত রাজধানীর দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের অফিসে বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠক চলে। বৈঠকে হাজির ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। ছিলেন এই বঙ্গের বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতাও। সেখানেই আলোচনায় উঠে আসে আগামী চার দফায় যোগ্যতম প্রার্থী কারা, মাথায় রাখা হয়েছিল হেস্টিংসে প্রার্থী বাছাই নিয়ে চলা বিক্ষোভের কথা। সব মিলিয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় যোগ্যতম প্রার্থীদের অর্থাৎ যারা বাংলা ভোটে বিজেপিকে সব থেকে ভাল ফল এনে দিতে পারবে।
এক্ষেত্রে বিজেপি নির্ভর করছে সব থেকে চেনা মুখগুলির উপরেই। এই কারনেই আবার ভোট ময়দানের নামবেন মুকুল রায়। সূত্রের খবর মুকুল রায় এবারের ভোটে লড়তে চাননি।বরং তিনি চেয়েছিলেন ছেলে শুভ্রাংশু রায়কে একটি আসন দেওয়া হোক।
সূত্রের খবর, শুভ্রাংশুকে তো আসন দেওয়া হবেই, বিজেপি চাইছে মুকুল রায়ে আরও একবার নামুন ভোট ময়দানে। সম্ভবত তাঁকে কৃষ্ণনগর উত্তরে প্রার্থীপদ দেওয়া হতে পারে। মুকুল রায় পাশাপাশি আরেক সংসদ শান্তনু ঠাকুরকে বিজেপি দাঁড় করাতে পারে হাবড়ায়। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গড় বলে পরিচিত এই এলাকায় শান্তনু ঠাকুর কতটা দাঁত ফোটাতে পারবেন তা সময় বলবে।
অন্যদিকে রানাঘাটে লড়বেন সাংসদ জগন্নাথ সরকার পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে খবর। পাল্টাচ্ছে বালুরঘাটের প্রার্থীও। জানা যাচ্ছে, আলিপুরদুয়ারের বদলে বালুরঘাট থেকে লড়াই করবেন বিজেপি প্রার্থী অশোক লাহিড়ী। ভোট লড়াইয়ে ময়দানে নেতৃত্ব দিলেও টিকিট নিয়ে লড়বেন না দিলীপ ঘোষ।
Be the first to comment