২১ জন প্রার্থীর জন্য নিরাপত্তা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। কাঁথি, ইংরেজ বাজার, ভাটপাড়ার মতো পুরসভা এলাকাগুলিতে বিরোধী দলের প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে গেরুয়া শিবির। প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। শাসক দলের বিরুদ্ধেই মূল অভিযোগ। সেই মামলায় প্রার্থীদের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হল। শুক্রবার ছিল সেই মামলার শুনানি। হুমকি দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটলে পুলিশ সুপারকে ব্যবস্থা নিতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত।
মামলাকারীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোনও অসুবিধায় পড়লে পুলিশ সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। হুমকি দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটলে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে পুলিশ সুপারকে। আগেই এই মামলায় আবেদনকারী সাত জনকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। আর বাকি ১৪ জন প্রার্থীকে নিজেদের খরচেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
হাই কোর্টের নির্দেশ, ওই প্রার্থীদের এক জন করে সশস্ত্র পুলিশ (পিএসও) দেওয়া হবে। প্রচার পর্ব শেষ হওয়ার পরে তাঁরা ওই নিরাপত্তা পাবেন। রাজ্যের কাছে নিরাপত্তার জন্য সুপারিশ করা হল যতটা কম সম্ভব টাকা নিতে বলেছে আদালত।
গত মঙ্গলবার সেই নিরাপত্তা সংক্রান্ত মামলায় রিপোর্ট তলব করেছিল হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির পুলিশের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়। পরের দিন সেই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় আদালতে। বিচারপতি রাজাশেখের মান্থার এজলাসে চলছিল সেই মামলার শুনানি। মূলত পশ্চিম মেদিনীপুরের কাঁথি, মালদহের ইংরেজ বাজার ও উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ার প্রার্থীরাই এই অভিযোগ সামনে আনেন।
বিজেপি প্রার্থীদের অভিযোগ, তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, মারধর করা হচ্ছে, হামলার শিকার হচ্ছেন তাঁরা। ভাটপাড়ার ক্ষেত্রে এক তৃণমূল প্রার্থী দেবজ্যোতি ঘোষের বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগও দায়ের করা হয়। এ দিকে, পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে।
Be the first to comment