রাজ্যের বিধানসভায় প্রথমবার বসতে চলেছেন বিজেপির ৭৭ জন বিধায়ক। যদিও তাঁদের মধ্যে দুই বিধায়ক এখনও শপথ নেননি। তবে এ দিন তৃণমূল ত্যাগী শুভেন্দু অধিকারীকেই বিরোধী দলনেতা হিসেবে বেছে নিয়েছে বিজেপি। তারপরই বাংলার বিজেপি বিধায়কদের জন্য একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রাজ্যে চলতে থাকা ভোট পরবর্তী হিংসার কথা মাথায় রেখে প্রত্যেক বিধায়ককে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই শাসকদলের বিরুদ্ধে লাগামহীন সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। ঠিক সেই কারণেই বছরভর বাংলার বিজেপি বিধায়কদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমনটাই খবর বিজেপি সূত্রে। তবে এই ক্ষেত্রে মনে করিয়ে দেওয়া দরকার, যারা বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন তাঁদের প্রায় প্রত্যেককেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, ভোট পরবর্তী পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ৭৭ জন বিধায়ককেই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। যদিও কোন বিধায়ক যদি নিরাপত্তা না চান তিনি নাই-ই নিতে পারেন।
বিজেপি সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, গেরুয়া শিবিরের মোট ২৯৩ টি আসনের প্রার্থীদের যে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল, তা আজ অর্থাৎ ১০ মে প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, ভোট পরবর্তী হিংসার কথা মাথায় রেখে বিজেপির বঙ্গ বিজেপির পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে আবেদন জানানো হয়, এই মাসটা যেন নিরাপত্তা দেওয়া হয় প্রার্থীদের। সূত্রের খবর, প্রত্যাশানুযায়ী অমিত শাহের মন্ত্রক সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছে। প্রার্থীদের নিরাপত্তার মেয়াদও ৩১ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
যদিও এই রাজ্যে বিজেপি নেতাদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাওয়ার ঘটনায় নতুন বা চমকের কিছু নেই। হেভিওয়েট না হওয়া সত্ত্বেও এ রাজ্যে বিজেপি নেতারা এমন পর্যায়ের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেয়ে এসেছেন যা নজিরবিহীন বললেও কম বলা হয়। বুথ স্তর থেকে শুরু করে বিজেপির জেলাস্তরের নেতারাও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। যদিও সেক্ষেত্রে খরচ তাঁকেই বহন করতে হয়। কিন্তু, এ নিয়ে শাসকদলের তরফে একাধিকবার প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর এহেন ‘অপব্যবহার’ করা হবে কেন?
Be the first to comment