দিল্লিতে চলছে বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠক। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির এই জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। দিল্লির এই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন খোদ নরেন্দ্র মোদীও।
আর সেখানেই বিরোধীদের যাবতীয় অভিযোগের জবাব হিসেবে মোদী বলেন, বিজেপি দলটি পরিবারতন্ত্রের উপর ভিত্তি করে না। এই দলের তিন মন্ত্র। সেবা, সংকল্প এবং সমর্পণ।’ পাশাপাশি বাংলায় বিজেপির বৃদ্ধি নিয়েও সন্তোষ প্রকাশ করে নেতৃত্ব। কর্মসমিতির বৈঠকে অংশ নিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। কার্যত অমিত শাহের সুরেই তিনি সুর মিলিয়ে বলেন, ‘যতক্ষণ না পর্যন্ত অ-বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি, ততক্ষণ দলের বৃদ্ধি সম্পূর্ণ হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘কেরালা, অন্ধ্র প্রদেশ, তামিলনাড়ু, ওডিশা এবং তেলেঙ্গানায় বিজেপিকে ক্ষমতা দখল করতে হবে।
অন্যদিকে, সাম্প্রতিক বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের মন্তব্য, ‘তেলেঙ্গানায় উপনির্বাচনে TRS-কে পরাজিত করেছে বিজেপি। এর থেকেই প্রমাণিত সেই রাজ্যে বিকল্প শক্তি হিসেবে উঠে আসছে দল।’ এদিনের বৈঠকে বারবার উঠেছে বাংলার প্রসঙ্গ। বাংলা থেকে বৈঠকে যোগদানকারী দলের নেতারা ভোট পরবর্তী হিংসার প্রসঙ্গ টানেন। তথ্য তুলে ধরে তাঁরা বলেন, ভোট পরবর্তী হিংসায় বাংলায় ৫০ জনের বেশি বিজেপি কর্মী-সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে। বহু মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। দলীয় নেতাদের এই নালিশ শুনে ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, ‘সারা দেশের বিজেপি নেতৃবৃন্দ পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির পাশে দাঁড়াবে। গণতান্ত্রিক ভাবে আইনি পথে অন্যায়ের মোকাবিলা করতে হবে।’
টিকাকরণে রাজনৈতিক ভেদাভেদ, পর্যাপ্ত টিকা থাকা সত্ত্বেও মানুষকে বঞ্চিত করার মতো একাধিক বিষয়ে নালিশ করা হয়েছে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে। তবে এদিন কর্মসমিতির বৈঠকে রাজ্যে বিজেপির ‘সুবৃদ্ধি’ স্বীকার করতে দেখা গিয়েছে সমস্ত নেতাদের। ২০১৬-র তুলনায় একুশের ভোটে বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ৩৮ শতাংশ হয়েছে বলেও তুলে ধরা হয়। কর্মসমিতির বৈঠকে বাংলা নিয়ে পৃথক প্রস্তাবও পেশ করা হয় এদিন। একমাত্র বাংলা নিয়েই প্রস্তাব পেশ করা হয়।
এদিকে, একদিকে যখন চলছে দিল্লির কর্মসমিতির বৈঠক ঠিক সেইসময়ই জেলায় বড়সড় ভাঙন গেরুয়া শিবিরে। বিজেপির SC মোর্চার জেলা সহ সভাপতি সহ একঝাঁক দলীয় কর্মী যোগ দিলেন তৃণমূলে। ভয় দেখিয়ে দল ভাঙানোর কাজ করছে তৃণমূল, এমনটাই অভিযোগ বিজেপির। এই নিয়ে জারি রাজনৈতিক তরজা।
Be the first to comment