ভোটের ঘণ্টা বেজে গেছে। যে কোনও মুহূর্তেই নির্বাচনি নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতে পারে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সব দলই নিজেদের রণকৌশল তৈরি করছে। যুযুধান দুই পক্ষ তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির প্রস্তুতি তুঙ্গে। মঙ্গলবার একদিনে যেমন উত্তরবঙ্গে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গে বারুইপুরে ছিলেন মুকুল-শুভেন্দু-রাজীব। আবার রাতেই শুভেন্দু-মুকুল-রাজীবকে দেখা গেল দিল্লিতে দিলীপ ঘোষের বাড়িতে নির্বাচনি বৈঠকে। এই কোর কমিটির বৈঠকে এঁরা চার জন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনান, শিবপ্রকাশ, অমিতাভ চক্রবর্তী, অমিত মালব্য, কিশোর বর্মণ, ডা. সুভাষ সরকার প্রমুখ। গভীর রাতে অমিত শাহর সঙ্গে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আপাতত, কোন অস্ত্রে শান দিলে রণে জয়ী হওয়া যায়, সে ব্যাপারে নিজেদের ভিতর আলোচনা করে নিতে চান কোর টিমের নেতারা। একদিকে দিলীপ ঘোষের ডাকাবুকো ইমেজ, অন্যদিকে চাণক্য মুকুল রায়ের বুদ্ধি, তার সঙ্গে যোগ হয়েছে জোড়া ফলা— শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব ব্যানার্জি।
অমিত শাহ তো বটেই, প্রধানমন্ত্রীর কাছেও বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। দু-দিন আগে যোগদান করে রাজীব ব্যানার্জিও জায়গা করে নিতে পেরেছেন কোর টিমে। অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে শুভেন্দু তো বটেই, জায়গা হতে পারে রাজীবেরও। আপাতত, শুভেন্দুর চাঁচাছোলা ভাষায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ এবং রাজীবের নরেন্দ্র মোদির উন্নয়নকে সামনে বাংলায় পরিবর্তনের ডাক— এই দুই স্ট্রাটিজি নিয়েই চলতে চাইছে বিজেপি।
Be the first to comment