১৯-এর ভোটে‘এক্স ফ্যাক্টর’ হয়ে উঠতে পারে ধর্মীয় মেরুকরণই, বাংলায় সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কই ভরসা বিজেপির

Spread the love
সারদা কাণ্ডে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে বুধবারও এক জনকে জেরার জন্য ডেকেছিল সিবিআই। রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ থাকলেও তিনি ছিলেন সারদা মিডিয়ার প্রাক্তন এক কর্তা।
যদিও সেটা মূল খবর নয়। আসল কথা হল, চিটফান্ড তদন্তে ফের গতি এনেছে সিবিআই। তবে অমিত শাহ-মুকুল রায়-দিলীপ ঘোষরা বুঝতে পারছেন, স্রেফ চিটফান্ড মামলায় ধরপাকড় হলেই লোকসভা ভোটে বাংলায় রাজনৈতিক সাফল্য আসবে না। এ ধরনের ঘটনা বাংলায় প্রতিষ্ঠান বিরোধিতাকে হাওয়া দিতে পারে ঠিকই, কিন্তু উনিশের ভোটে‘এক্স ফ্যাক্টর’ হয়ে উঠতে পারে ধর্মীয় মেরুকরণই। আর তাই বাংলায় যে লোকসভা আসনগুলিতে সংখ্যালঘু ভোটের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কম, মুকুল রায়-অমিত শাহদের বেশি নজর এখন সেখানেই।
এক সময় সংখ্যালঘু ভোট বাংলায় বামেদের জিয়নকাঠি ছিল। ২০০৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকে বামেদের সেই ভোট ব্যাঙ্কে ধ্স নামতে শুরু করে। এখন রাজ্যে সংখ্যালঘু ভোটারদের মধ্যে তৃণমূলের জনভিত্তি পাথরের মতই শক্ত বলে মনে করেন শাসক দলের নেতারা। বিশেষ করে বিপক্ষে যখন বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদী রয়েছেন, তখন একটাও সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূলের ভোট বাক্সের বাইরে পড়বে না বলেই তাঁদের বিশ্বাস।
ঠিক এখান থেকেই অঙ্ক শুরু করেছেন মুকুল রায়রা। বাংলায় ৪২ টি লোকসভা আসন ধরে ধরে হিন্দু ভোটার ও সংখ্যালঘু ভোটারের সংখ্যা বের করেছেন। এবং সেই মোতাবেক অ্যাকশন প্ল্যান সাজাচ্ছেন।
অমিত শাহ দিল্লি ফিরে যাওয়ার পর লাগাতার জাতীয় নাগরিক পঞ্জি নিয়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অন্যদিকে মুকুলবাবুর বক্তব্য, পুরুলিয়া ও কলকাতায় অমিত শাহ-র সভা এবং মেদিনীপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভায় বিপুল সমাবেশ বড় ইঙ্গিত করছে। ওই সভায় মানুষের যোগদান ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। ২০০৯ সালের পর দু বছর তৃণমূলের সভাতেও এমন স্বতঃস্ফূর্ততা দেখা যেত। তাঁর কথায়, “২০০৯ সালের লোকসভা ভোটের ফল বেরনোর আগে কেউ বুঝতে পারেনি তৃণমূল ১৯টি আসন পাবে। এ বারও অনেকে ধারনা করতে পারছেন না বিজেপি-র আসন বেড়ে কত হবে। কিন্তু আমি বলছি, বাংলায় এ বার বিপর্যয় হবে তৃণমূলের।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*